Skip to content

ভিসা প্রসেসিং কিভাবে করে

ভিসা প্রসেসিং কিভাবে করে জানতে হলে অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্ট পড়তে হবে|একটি দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণের জন্য ভিসা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  ভিসা ছাড়া আপনি একটি দেশ থেকে অন্য দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে আপনি যদি সেই দেশের নাগরিক হোন সেক্ষেত্রে আপনার জন্য ভিসা প্রয়োজন হবে না। প্রায় প্রতিটি দেশের ভিসা প্রসেসিং একই রকম। তবে কিছু দেশের ভিসা প্রসেসিং একটু ভিন্ন রকম হয়। বিশেষ করে ইউরোপের ভিসা প্রসেসিং অনেক বেশি জটিল  হয়। অন্যদিকে আপনি যদি মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে যেতে চান তাহলে ইউরোপে তুলনায় মধ্যপ্রাচ্যের ভিসা প্রসেসিং অনেকটা সহজ হয়ে থাকে।

ভিসা প্রসেসিং কেমন হবে সেটা সম্পূর্ণ সেই দেশের এমব্যাসির উপর নির্ভর করবে। তবে যদি কোন দেশের সাথে কোন দেশের সম্পর্ক অনেক বেশি ভালো হয় তাহলে দুইদেশের চুক্তি করে ভিসা প্রসেসিং অনেকটা সহজ করে ফেলা হয়। যেমনটা আমরা ভারত এবং বাংলাদেশের ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে দেখতে পারি। আজকের পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা ভিসা প্রসেসিং কিভাবে করে এবং  বিভিন্ন দেশের ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে জানব।

আরো দেখে আসতে পারেনঃ জাপান ভিসা ২০২২

ভিসা প্রসেসিং

প্রায় প্রতিটি দেশের ভিসা প্রসেসিংএকইরকম |তবে এশিয়া দেশ গুলোর ভিসা প্রসেসিং আলাদা এবং ইউরোপ দেশগুলর ভিসা প্রসেসিং আলাদা | আজকের এই পোস্ট এর ভিতর বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে এবং কিভাবে সহজে ভিসা আবেদন করতে হয় জানতে পারবেন|তাই ভাল করে জানার জন্য আসা করি সাথে থাকবেন

কানাডা জব ভিসা প্রসেসিং

বিশ্বের উন্নত দেশের তালিকা করলে কানাডা অবশ্যই সেই তালিকায় থাকবে। আগে আমাদেরএই উপমহাদেশের দেশগুলোর জন্য কানাডার ভিসা অনেক জটিল ছিল। কিন্তু বর্তমানে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশের জন্য কানাডা ভিসা অনেক সহজ করে দিয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে কানাডার ওয়ার্কিং ভিসা পাওয়াটা আগের তুলনায় সহজ করা হয়েছে। তবে যতটা সহজ মনে হচ্ছে ঠিক ততটা সহজ নয়। তা না হলে মানুষ কাতার দুবাই ইত্যাদির মতো দেশে না গিয়ে কানাডায় যেত।

কানাডা ভিসা আবেদনের জন্য যোগ্যতা

  1. আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছয় মাস বা তার অধিক হতে হবে
  2. আপনার পূর্ব কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তার প্রমান পত্র থাকতে হবে
  3. জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি
  4. আইইএলটিএস স্কোর 6 থাকা লাগবে
  5. ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে এবং সেই ব্যাংক স্টেটমেন্ট 30 লাখ টাকার বেশি আদান-প্রদান দেখাতে হবে
  6. আগে যদি কোথাও ট্রাভেল করে থাকেন সেটার প্রমান পত্র
  7. বর্তমানে কোন কাজে নিয়োজিত আছেন সেটার প্রমান পত্র
  8. বিমানের টিকিট এবং হোটেল বুকিং এর টিকিটের ফটো কপি

প্রতিবছর সরকারি ভাবে অনেক লোক কানাডায় নিয়ে যাওয়া হয়। আপনি যদি কোন কাজে বিশেষ করে টেকনোলজি বিষয়ক কাজে পারদর্শী হন তাহলে আপনি কানাডার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা অনেক সহজ।

আপনার উপরের তথ্যগুলো সবগুলো যদি থাকে তাহলে আপনি কানাডা এম্বাসিতে গিয়ে কানাডার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

আরো দেখে আসতে পারেনঃ অনলাইনে বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করার নিয়ম

ইতালি ভিসা প্রসেসিং

এখানে যেহেতু ইউরোপের একটি দেশ তাই এই দেশের ভিসা প্রসেসিং একটু জটিল। কানাডার ভিসা প্রসেসিং এর তুলনায় ইতালি ভিসা প্রসেসিং একটু কঠিন হয়। তবে প্রতিবছর সরকারিভাবে এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অনেক ভিসা পাওয়া যায়।

আপনি যদি ইতালি যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সরকারিভাবে অথবা কোন প্রতিষ্ঠান সাহায্য নিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।তবে আপনি যদি পড়ালেখার জন্য ইতালি যেতে চান তাহলে আপনি আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দ্বারাও ইতালির ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ইতালি ভিসা আবেদনের জন্য যোগ্যতা

  1. আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছয় মাস বা তার অধিক হতে হবে
  2. আপনার পূর্ব কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তার প্রমান পত্র থাকতে হবে
  3. জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি
  4. আইইএলটিএস স্কোর 6 থাকা লাগবে
  5. ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে এবং সেই ব্যাংক স্টেটমেন্ট 30 লাখ টাকার বেশি আদান-প্রদান দেখাতে হবে
  6. আগে যদি কোথাও ট্রাভেল করে থাকেন সেটার প্রমান পত্র
  7. বর্তমানে কোন কাজে নিয়োজিত আছেন সেটার প্রমান পত্র
  8. বিমানের টিকিট এবং হোটেল বুকিং এর টিকিটের ফটো কপি

কিছু মানুষ আপনাকে ইতালি নিয়ে যাওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা চাইবে, তাদের ফাঁদে পড়বেন না। প্রতিবছর অনেক মানুষ অবৈধভাবে ইতালি প্রবেশ করে। কিন্তু প্রবেশ করার পরে তারা কোন ধরনের কাজ পায়না।কাজ না পাওয়ার কারণে তারা সেখানে অনেক ধরনের ঝামেলায় পড়েন। তাই অবৈধভাবে ইউরোপের কোন দেশে ভুলেও ঢোকার চেষ্টা করবেন না।

আরো দেখে আসতে পারেনঃ ইউরোপের  যে দেশগুলোর ভিসা সহজে পাওয়া যায়

রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং

রোমানিয়া ওয়ার্ক ভিসা বাংলাদেশের জন্য খুবই জনপ্রিয়। এর কারণ হচ্ছে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় রোমানিয়ার ভিসা পাওয়া বা ওয়ার্ক ভিসা পাওয়া অনেক সহজ। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে বা পড়ালেখার উদ্দেশ্যে অথবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রোমানিয়ায় বেড়াতে যায়। রোমানিয়া ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন বছর থাকে। তিন বছর পর আপনাকে সেই ভিসা রিনিউ করে নিতে হবে।

ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো আপনার ভিসা ছাড়া অবৈধভাবে রোমানিয়ায় কাজ পারেন না। তবে হয়ত মানবতার খাতিরে কেউ আপনাকে যদি কাজ দিয়ে থাকে তাহলে খুব অল্প টাকায় কাজ করাবে। যার ফলে আপনি আপনার জীবন ধারণ করতে পারবেন না।

রোমানিয়া ভিসা আবেদনের জন্য যোগ্যতা

  1. আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছয় মাস বা তার অধিক হতে হবে
  2. আপনার পূর্ব কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তার প্রমান পত্র থাকতে হবে
  3. জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি
  4. আইইএলটিএস স্কোর 6 থাকা লাগবে
  5. ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে এবং সেই ব্যাংক স্টেটমেন্ট 30 লাখ টাকার বেশি আদান-প্রদান দেখাতে হবে
  6. আগে যদি কোথাও ট্রাভেল করে থাকেন সেটার প্রমান পত্র
  7. বর্তমানে কোন কাজে নিয়োজিত আছেন সেটার প্রমান পত্র
  8. বিমানের টিকিট এবং হোটেল বুকিং এর টিকিটের ফটো কপি

রোমানিয়া ভিসা আবেদনের 30 থেকে 60 দিনের মধ্যে প্রসেসিং কমপ্লিট হয়ে যায়। আপনার সকল কাগজপত্র যদি সঠিক থাকে তাহলে আপনি তাড়াতাড়ি ভিসা পাবেন। তবে আপনার কাগজপত্র যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে আপনার ভিসার আবেদন বাতিল করে দেওয়া হবে।

ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেসিং

বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে সহজে ইন্ডিয়ার ভিসা পাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে খুব কম মানুষ ইন্ডিয়াতে কাজ করার উদ্দেশে যায়। এর কারণ হচ্ছে বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়াতে শ্রমিকদের বেতন প্রায় একই। তবে বাংলাদেশে থেকে অনেক মানুষ চিকিৎসা অথবা বেড়াতে ইন্ডিয়াতে যায়।

আরো দেখে আসতে পারেনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক

ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদনের জন্য যোগ্যতা

  1. আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছয় মাস বা তার অধিক হতে হবে
  2. আপনার পূর্ব কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তার প্রমান পত্র থাকতে হবে
  3. জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি
  4. আগে যদি কোথাও ট্রাভেল করে থাকেন সেটার প্রমান পত্র
  5. বর্তমানে কোন কাজে নিয়োজিত আছেন সেটার প্রমান পত্র
  6. বিমানের টিকিট এবং হোটেল বুকিং এর টিকিটের ফটো কপি
  7. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স

আপনি সরাসরি ইন্ডিয়ান এম্বাসি অথবা অনলাইনের মাধ্যমে ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে ইন্ডিয়ান ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করার আগে অবশ্যই আপনার পূর্ব কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে সেটার প্রমান পত্র পেশ করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে খুব কম টাকায় ইন্ডিয়া তে যাওয়া যায়। আপনি চাইলে সরাসরি ট্রেনের মাধ্যমে অথবা বাসের মাধ্যমে ইন্ডিয়াতে যেতে পারবেন।

আমেরিকান ভিসা প্রসেসিং

বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে জটিল ভিসা প্রসেসিং হল আমেরিকান ভিসা প্রসেসিং। তবে আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে চান তাহলে অনেক ধরনের নিয়ম-কানুন শিথিল করা থাকে। তবে ওয়ার্ক ভিসায় আমেরিকা যেতে চাইলে আপনাকে অনেক ধরনের নিয়ম-কানুনের মাধ্যমে যেতে হবে। আমেরিকা থেকে খুব কম ওয়ার্ক ভিসা আবেদন কার্যকর করা হয়।

আমেরিকা ভিসা আবেদনের জন্য যোগ্যতা

  1. আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছয় মাস বা তার অধিক হতে হবে
  2. আপনার পূর্ব কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তার প্রমান পত্র থাকতে হবে
  3. জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি
  4. আইইএলটিএস স্কোর 6 থাকা লাগবে
  5. ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে এবং সেই ব্যাংক স্টেটমেন্ট 30 লাখ টাকার বেশি আদান-প্রদান দেখাতে হবে
  6. আগে যদি কোথাও ট্রাভেল করে থাকেন সেটার প্রমান পত্র
  7. বর্তমানে কোন কাজে নিয়োজিত আছেন সেটার প্রমান পত্র
  8. বিমানের টিকিট এবং হোটেল বুকিং এর টিকিটের ফটো কপি

আমেরিকা ভিসা তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত লাগতে পারে। এছাড়া আমেরিকার ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ ছয় বছর পর্যন্ত হতে পারে। 6 বছর পর সেই  ভিসা ভিসা রিনিউ করে নিতে  হবে। আমেরিকার সবচেয়ে বড় ঝামেলা হচ্ছে আমেরিকার কোন নাগরিক হতে সুপারিশ পত্র। আমেরিকার ভিসা পাওয়ার জন্য বিশেষ করে ওয়ার্ক ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে আমেরিকার কোন নাগরিকের সুপারিশপত্র প্রয়োজন হবে। আর যদি আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে যান তাহলে অবশ্যই সেই প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ পত্র লাগবে।

স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে যাবেন সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুপারিশপত্র লাগবে।

বাংলাদেশ আমেরিকা এম্বাসি হতে আপনি সরাসরি গিয়ে আমেরিকার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার সকল কাগজপত্র এবং তথ্য যদি ঠিক থাকে তাহলে অত কিছুদিনের মধ্যেই আপনি আমেরিকার ভিসা পেয়ে যাবেন। আর যদি আপনার কাগজপত্রের মধ্যে কোন ধরনের ভুল থাকে বা ভুয়া তথ্য হয় তাহলে আপনার ভিসা বাতিল হবে এবং আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। আমি আবারো বলছি আমেরিকায় ওয়ার্ক ভিসা না   পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবুও আপনার যদি যোগ্যতা থাকে তাহলে অবশ্যই আমেরিকার ভিসার জন্য আবেদন করবেন। আমেরিকার ভিসা পাওয়ার আরেকটি বড় উপায় হল আমেরিকার কোন কোম্পানির সুপারিশ পত্র পাওয়া। আমেরিকার কোন কোম্পানিতে যদি আপনি জবের সুপারিশপত্র পান তাহলে খুব সহজে এবং খুব তাড়াতাড়ি আপনার ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হবে।

সৌদি ভিসা প্রসেসিং

প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যায়। কারণ বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া অনেকটাই সহজ। ইউরোপের অন্যান্য দেশে প্রবেশ করতে হলে যেমন আইএলটিএস সহ বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়, সৌদি আরবে ওয়ার্ক ভিসা পাওয়ার জন্য এত ঝামেলার প্রয়োজন হয় না। তাই সৌদি আরবের ভিসা বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। এছাড়া অন্যান্য দেশের তুলনায় সৌদি আরবের ভিসার মূল্য অনেক কম হওয়ায় এদেশের জনপ্রিয়তা আরও বেশি।

সৌদি  আরবের ভিসা আবেদনের যোগ্যতা

 

  1. আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছয় মাস বা তার অধিক হতে হবে
  2. আপনার পূর্ব কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তার প্রমান পত্র থাকতে হবে, না থাকলে সমস্যা নেই
  3. জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি
  4. আগে যদি কোথাও ট্রাভেল করে থাকেন সেটার প্রমান পত্র
  5. বর্তমানে কোন কাজে নিয়োজিত আছেন সেটার প্রমান পত্র
  6. বিমানের টিকিট এবং হোটেল বুকিং এর টিকিটের ফটো কপি
  7. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  8. মেডিকেল সার্টিফিকেট

আপনি সরাসরি সৌদি এম্বাসি গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সৌদি ভিসা আবেদনের করার কয়েক দিনের মধ্যেই আপনার কাগজপত্র ঠিক থাকলে ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন। আপনাকে অবশ্যই আপনার পাসপোর্টে মেয়াদ ছয় মাসের বেশি রেখে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সৌদি আরব থেকে প্রতিটি ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই বছর দিয়ে থাকে। দুই বছর পর আপনাকে অবশ্যই সেই ভিসা রিনিউ করে নিতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি ভিসা পেয়েছেন তাকে দিয়ে রিনিউ করে নিতে পারবেন, অথবা আপনি যার আন্ডারে কাজ করবেন সেও আপনাকে টিচার রিনিউ করে দিতে পারবে।

মালয়েশিয়া ভিসা প্রসেসিং

মালয়েশিয়ার ভিসা প্রসেসিং অনেকটা সৌদি আরবের মতই। তবে অনেকদিন যাবত মালয়েশিয়ায় লোক নেওয়া বন্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানে আবার মালয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু করেছে। মালয়েশিয়ার ও ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই বছর হয়ে থাকে। দুই বছর পরে আপনাকে আবার ভিসা রিনিউ করে নিতে হবে। আপনি যার মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাবেন অথবা যার সাথে মালয়েশিয়া কাজ করবেন সে আপনাকে ভিসা বিনিয়োগ করে দিতে পারবে।

মালয়েশিয়ার ওয়ার্ক ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

  1. আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছয় মাস বা তার অধিক হতে হবে
  2. আপনার পূর্ব কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তার প্রমান পত্র থাকতে হবে
  3. জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি
  4. আগে যদি কোথাও ট্রাভেল করে থাকেন সেটার প্রমান পত্র
  5. বর্তমানে কোন কাজে নিয়োজিত আছেন সেটার প্রমান পত্র
  6. বিমানের টিকিট এবং হোটেল বুকিং এর টিকিটের ফটো কপি
  7. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  8. শরীরে কোন ধরনের রোগ না থাকা বা মেডিকেল সার্টিফিকেট

মানুষের ভিসা প্রসেসিং অনেকটা সৌদি আরবের মত হওয়ায় এটা নিয়ে আর বেশি কিছু বললাম না। তবে সৌদি আরব থেকে মালয়েশিয়ায় ভিসা পেতে হলে আপনাকে সামান্য কিছু বেশি খরচ করতে হতে পারে। তবে সেটা স্থান এবং ব্যক্তি অনুসারী ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে সৌদি আরবের ভিসার তুলনায় মালয়েশিয়ার ভিসা বেশি লাভজনক। কারণ বর্তমানে সৌদি আরবে ওয়ার্ক ভিসায় গিয়ে অনেক মানুষ কাজ পাচ্ছে না। কিন্তু অন্যদিকে মালয়েশিয়ার ভিসার এখন বর্তমানে অনেক বেশি ডিমান্ড রয়েছে।

কারণ মালয়েশিয়া অগণিত হারে লোক নেয় না। তারা তাদের প্রয়োজন অনুসারে লোক নিয়ে তারপরে তাদের ভিসা আবার বন্ধ করে দেয়। যার ফলে কোন মানুষ মালয়েশিয়া গিয়ে অন্তত বেকার জীবন যাপন কাটায় না।

ভিসা প্রসেসিং রিলেটেড ভিডিও

আর ভালো করে বুঝার জন্য নিচের ভিডিও দেখতে পারেন |কোন প্রকার সমস্যা থাকলে ভিডিও দেখলে আসা করি সমস্যা থাকবে না|

 

ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি

বাংলাদেশে অনেক মানুষ বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে যায়। ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি গুলো আপনাদের থেকে কিছু এক্সট্রা টাকা নিয়ে আপনাকে ওই দেশে পৌঁছে দেয় এবং বিভিন্ন কাজ পেতে সাহায্য করে। তবে যদি আপনি খারাপ কোনো বিশ্বাস করতেছেন এর কবলে পড়েন তাহলে আপনার সম্পূর্ণ টাকা পানিতে চলে যাবে। বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক ভূয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি চালু হয়েছে।

যারা গ্রাহকদের টাকা নিয়ে তাদেরকে বছরের পর বছর ঘুরায় কিন্তু তাদেরকে বিদেশে পাঠাতে পারে না। এই ধরনের বিচার এজেন্সি গুলো থেকে সাবধান থাকবেন। ভালো এজেন্সি গুলোতে আপনি গেলে আপনার থেকে বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট চাইবে। সেই ডকুমেন্ট অনুসারে আপনি যে দেশে যাবেন সেই দেশের স্থান অনুসারে আপনার থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা চাইবে। সেই টাকা দিলেই ভিসা এজেন্সি গুলো আপনার সকল কাজ করে দেবে। এতে করে আপনার বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় পড়তে হবে না।

অবশ্যই কোনো ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করতে গেলে আগে অবশ্যই সেই ভিসা এজেন্সি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবেন। তা না হলে পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলায় পড়তে পারেন।

ভিসা রিলেটেড পোস্ট

আজকের পোস্ট নিয়ে শেষ কথা

আশা করি আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। বিভিন্ন দেশের ভিসা কেমন হবে সেটা সম্পূর্ণ সেই দেশের উপরে নির্ভর করবে। এছাড়া আমি উপরে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছি সেটা কম বেশি হতে পারে। কারণ একটি দেশ তাদের ভিসার উপরে কি ধরনের শর্ত আরোপ করবে সেটা সম্পূর্ণ সেই দেশের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাই আপনি যেই দেশে যেতে চান সেই দেশের এম্বাসিতে গিয়ে অবশ্যই আগে তাদের ভিসা সম্পর্কে ভালোভাবে বিস্তারিত জেনে নেবেন।সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

3 thoughts on “ভিসা প্রসেসিং কিভাবে করে”

  1. Pingback: আলবেনিয়া ভিসা ২০২২ - Trick Services

  2. Pingback: আর্মেনিয়া ভিসা ২০২২ - Trick Services

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *