আপনাদের মধ্যে অনেকেই আর্মেনিয়া ভিসা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আর্মেনিয়া হল পূর্ব ইউরোপের একটি দেশ এবং আজারবাইন এবং জর্জিয়া পার্শ্ববর্তী একটি দেশ যার নাম আর্মেনিয়া।
বর্তমানে আর্মেনিয়াতে সব ধরনের ভিসা চালু রয়েছে। এবং আর্মেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বর্তমানে আপনি খুব সহজেই সেখানে পাড়ি জমাতে পারেন। ভিসার জন্য অবশ্যই আপনাকে দিল্লি এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা লাভ করতে হবে। আর্মেনিয়া ইউরোপের একটি দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ,নেপাল্ভুটান ,ও পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশের মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা স্টুডেন্ট ভিসা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে এদেশে পাড়ি দিচ্ছেন।
সবচেয়ে বড় কথা হলো আর্মেনিয়া ভিসা প্রসেসিং খুব দ্রুত হয়ে থাকে |ভিসা আবেদনের দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ভিসা নিয়ে আর্মেনিয়া যেতে পারবেন।
যারা আর্মেনিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা রেস্টুরেন্ট ভিসা টুরিস্ট ভিসা এছাড়া ইত্যাদি ভিসা নিয়ে আর্মেনিয়া যেতে চান তাদের জন্য আজকে এই পোস্টটি সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। পোস্ট টি ভালো করে পড়লে কিভাবে ভিসা লাভ করতে পারবেন বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আরো দেখে আসতে পারেন:
আর্মেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
বর্তমানে আর্মেনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু করে দিয়েছে দেশটির সরকার। আর্মেনিয়া যেতে তেমন কোন কাজের অভিজ্ঞতা না লাগার কারণে প্রচুর পরিমাণে শ্রমিক ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে আর্মেনিয়া যাচ্ছেন। এবং আর্মেনিয়া পচুর কাজের চাহিদা থাকায় প্রতি বছর অনেক লোক কাজের ভিসা নিয়ে বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে আর্মেনিয়া যাচ্ছে|
আর্মেনিয়া দেশ কেমন
দক্ষিণ কোকেশাস অঞ্চলের একটি দেশ আর্মেনিয়া পশ্চিম এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের মধ্যে অবস্থিত এই দেশটি ১৯৯২ সালে এটি সোভিয়েত ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত হয়| ১৯৯১ সালে স্বাধীনতার লাভ করে | এবং ১৯৯৫ সালে দেশটির প্রথম সোভিয়েত পরবর্তী সংবিধান পাশ করা হয়।
আর্মেনিয়া রাজধানী
আর্মেনিয়া রাজধানীর নাম ইয়েরেভান। এবং বৃহত্তম নগরীর নামও ইয়েরভান।
আর্মেনিয়া আয়তন
আর্মেনিয়া দেশটির মোট আয়তন 29800 কিমি (১১৫০০ মাইল) (১৪২তম)
আর্মেনিয়ার জনসংখ্যা
২০১১ আদমশুমারি অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা ৩০১০৮৮৫৪(১৩৪th)
আর্মেনিয়া দেশটির আয়
মোট আয় $28282 billion |এবং মাথাপিছু মোট আয় $9456, দেশটির মুদ্রার নাম (AMD)|
আর্মেনিয়া দেশটির কলিং কোড ৩৭৪|
আর্মেনিয়া ভিসা প্রসেসিং
এখন বাংলাদেশ থেকেই আর্মেনিয়ার ভিসার প্রসেসিং করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ইন্ডিয়া দিল্লির এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। ভিসা প্রসেসিংয়ের পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে বাংলাদেশ ভিসা অফিসে চলে যান এবং ভিসা সংগ্রহ করুন।
আর্মেনিয়া স্টুডেন্ট ভিসা
আর্মেনিয়া স্টুডেন্ট ভিসা বর্তমানে খোলা আছে । বর্তমানে প্রতি বছর উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেক স্টুডেন্ট আর্মেনিয়াতে পাড়ি জমাচ্ছে। ভিসা প্রসেসিং এবং Air Ticket সহ মোট কত টাকা খরচ হবে এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন।
আর্মেনিয়া স্টুডেন্ট ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র লাগবে
স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আপনাকে যেসব ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো
পাসপোর্টঃ অবশ্যই একটি অরজিনাল পাসপোর্ট লাগবে সে ক্ষেত্রে পাসপোর্ট এর মেয়াদ মিনিমাম ৬ মাস এর বেশি থাকতে হবে |এবং দুটি ব্ল্যাংক পেজ রাখতে হবে।
ছবিঃ সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড কালার অবশ্যই সাদা থাকতে হবে
Admission letter: আর্মেনিয়া যে University থেকে আপনি এডমিশন নিতে চান সেখান থেকে আপনাকে যে Offer letter পাঠিয়েছে সেটি ভিসা আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
Cover BIO data: অবশ্যই আর্মেনিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা পেতে আপনাকে CV জমা দিতে হবে | এবং CV তে আপনার যেসব একাডেমিক সার্টিফিকেট গুলো আছে সবগুলো ভাল করে উল্লেখ করতে হবে|
এবং সাথে যদি কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে CV তে সেটিও উল্লেখ করে দিতে হবে এতে আপনার পড়ালেখার পাশাপাশি কোন Job নিতে সাহায্য করবে |এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভিসা আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
Academic certificate: আপনার একাডেমিক সার্টিফিকেটগুলো ভালো করে Attached করতে হবে |প্রথমত যে কাজটি করবেন S.S.C and H.S.C নির্দিষ্ট বোর্ড থেকে Attached করতে হবে |এবং যদি Honurse B.B.A M.B.A করা থাকে তাহলে ইউনিভার্সিটি থেকে Attached করে নিতে হবে |এবং সবশেষে Education Ministary থেকে আপনার প্রতিটি ডকুমেন্টস Attached করতে হবে |তারপরে সবগুলো ডকুমেন্টস ভালো করে দেখে সাবমিট করে দিবেন।
Police clearance:
স্টুডেন্ট ভিসা পেতে অবশ্যই আপনাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সাবমিট করতে হবে | কারণ যাতে আর্মেনিয়া এম্বাসি বুঝতে পারে যে আপনার নামে কোন থানায় ক্রিমিনাল রিপোর্ট নেই | তাই পুলিশ স্টেশন থেকে একটি চারিত্রিক সার্টিফিকেট নিতে হবে।
Recommendation letter : বাংলাদেশের যে ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা করেছেন সেই ভার্সিটির প্রিন্সিপাল অথবা ভাইস চ্যান্সেলরের কাছ থেকে একটি রেক্রুটমেন্টেশন লেটার সংগ্রহ করে আবেদনপত্রের সাথে সাবমিট করতে হবে|
Payment receipt : ভিসার জন্য Application করেছেন এবং যদি টিউশন ফি বাবদ Payment করে থাকেন তার সত্যতা প্রমাণ করার জন্য পেমেন্ট রিসিট দেখাতে হবে।
আর্মেনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
করোনা মহামারীর পর আর্মেনিয়ার ভিসা খুলে দেয়া হয়েছে |এবং প্রায় প্রতিটি কাজের চাহিদাও এখানে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে| আর্মেনিয়া সবচাইতে যেসব কাজের চাহিদা রয়েছে তা হলো
- ফ্যাক্টরি
- কনস্ট্রাকশন
- হোটেল
- রেস্টুরেন্ট
- ক্লিনার
- শপিংমল
- সুপার শপ ইত্যাদি
আরো দেখে আসতে পারেন:
আর্মেনিয়া কোন কাজের কত টাকা বেতন
কোন কাজের কত টাকা বেতন সেটা নির্ভর করবে আপনি কোন কাজের জন্য যাচ্ছেন |অথবা আপনার কাজের প্রতি দক্ষতার উপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারণ করা হয়।
তবে আর্মেনিয়ার যারা থাকেন তাদের কাছ থেকে জানা গেছে একজন শ্রমিক প্রতি মাসে ৪০০ ইউরো ডলার থেকে ৫০০ ইউরো ডলার পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকেন। এছাড়া কাজের দক্ষতা অনুযায়ী বেতনের কমবেশিও হতে পারে। আর্মেনিয়াতে যারা কাজের ভিসা নিয়ে যাবেন তাদের টাকা খরচ সম্পন্ন কোম্পানি বহন করবে | এবং খাবার খরচ নিজ অর্থ বহন করতে হবে|
অর্থাৎ থাকা সম্পূর্ণ ফ্রি এবং খাবার খরচ নিজের বহন করতে হবে।
ভিসা রিলেটেড পোস্ট
Pingback: ওমান ভিসা ২০২২ | ওমান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা - Trick Services
Pingback: বেলারুশ কাজের ভিসা ২০২৩ - Trick Services