Skip to content

অনলাইনে বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

অনলাইনে বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

অনলাইনে বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক একটি দেশে কোনো যানবাহন ড্রাইভিং করতে হলে অবশ্যই সেই দেশের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লাইসেন্স করতে হয়। আপনি লাইসেন্স ছাড়া সে দেশে যদি কোনো যানবাহন চালানো তাহলে সে দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সে দেশের আইন অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রোভাইড করে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হলে আপনাকে কিছু প্রসেস অবলম্বন করতে হবে। আপনি চাইলে বিআরটিএ অফিস থেকে অথবা অনলাইন থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আরো দেখে আসতে পারেনঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করার জন্য কি কি লাগবে?

১. আপনার জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট থাকতে হবে।

২. আপনার শরীরে যদি কোনো ধরনের হাড় ভাঙ্গার মত সমস্যা থাকে তাহলে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন না। তাই ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করার আগে অবশ্যই মেডিকেল চেকআপ করে নিবেন।

৩. আপনি যে গাড়ির জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে চাচ্ছেন সেই গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন

১.অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনি বিআরটিএ ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিষ্টেশন করে নিন।

২. রেজিস্ট্রেশন করার পরে নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন বা পাসপোর্ট নম্বর প্রদান করুন।

৩. তারপর আপনার জন্মতারিখ সঠিকভাবে উল্লেখ করুন।

৪. তারপরে আপনার পার্সোনাল ডিটেলস গুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন।

৫. পার্সোনাল ডিটেলস গুলো সঠিকভাবে পূরণ করার পর, আপনি যে মোবাইল নম্বরটি দিয়েছেন সে মোবাইল নম্বরে একটা ওটিপি কোড যাবে সেই ওটিভি করতে বসিয়ে তারপরে সাবমিট করুন।

৬. তারপরে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলোর স্ক্যান কপি অনলাইনে আপলোড করুন।

৭. কাগজপত্রগুলো স্ক্যান কপি অনলাইনে আপলোড করার পরে আপনাকে নির্দিষ্ট ফ্রি মোবাইল ব্যাংকিং বা যেকোনো ব্যাঙ্ক থেকে পাঠাতে হবে। ফি পাঠানোর পরে আপনি আপনার আবেদন বিআরটিএ অফিসে পাঠাতে পারবেন।

লাইসেন্স এর আবেদনটি সঠিকভাবে পাঠানোর পর বিআরটিএ অফিস থেকে আপনাকে মেসেজ এর মাধ্যমে ডাকানো হবে। আপনাকে যে তারিখে যেতে বলবে সেই তারিখে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। সেখানে যাওয়ার আগে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করে রাখবেন। সব প্রসেস শেষ হলে আপনি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পেয়ে যাবেন।

আরো দেখে আসতে পারেনঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম 

অনলাইনে বিআরটিএ কতৃক ডাইভিং লাইসেন্স চেক

১. প্রথমে আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইল থেকে প্লে স্টোরে চলে যান। তারপর সেখানে গিয়ে “DL Checker” এপ্লিকেশনটি ইন্সটল করুন।

২. সঠিক ভাবে ইন্সটল করার পর আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর দিয়ে সেখানে সার্চ করলেই আপনার সকল তথ্য অ্যাপস এর মাধ্যমে দেখতে পারবেন।

আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের যদি সঠিক হয় তাহলে আপনার তথ্যগুলো সেখানে পাবেন। অথবা আপনি চাইলে বিআরটিএ ওয়েবসাইট থেকেও ড্রাইভিং লাইসেন্স ভেরিফাই করতে পারবেন। যেকোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি হওয়ার পর সেগুলো অনলাইনে চেক করে নিবেন। কারণ অনেক সময় বিভিন্ন অসাধু লোক আপনাকে বিভিন্ন ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স দিবে। যেগুলো নিয়ে যদি আপনি পুলিশের কাছে ধরা খান, তাহলে আপনার অনেক টাকা জরিমানা ও জেল হতে পারে।

বিআরটিএ অফিস থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ভেরিফাই

আপনি যদি অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স ভেরিফাই করতে না পারেন, তাহলে আপনি চাইলে আপনার নিকটস্থ বা জেলা বিআরটিএ অফিস থেকে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সকল তথ্য ভেরিফাই করে নিতে পারবেন। এতে করে আপনি আরো বেশি নিশ্চিন্তে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ব্যবহার করতে পারবেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর একটি মেয়ে থাকে সেই মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে সেটার রিনিউ করে নেবেন। কারণ ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলে পুলিশ আপনাকে জেল ও জরিমানা করতে পারে। এছাড়া রাস্তায় চলাচল করার সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সাথে সাথে গাড়ির কাগজপত্র গ্রুপগুলোর একটি কপি সাথে রাখবেন। পারলে নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র সাথে থাকবেন। এতে করে কখনও পুলিশ আপনাকে রাস্তায় চেকআপ করলে আপনি আপনার কাগজপত্রগুলো দেখিয়ে বেঁচে যেতে পারবেন।

বন্ধুরা আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

আরো দেখে আসতে পারেনঃ অনলাইনে বাসের টিকিট কাটার নিয়ম 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *