Skip to content

ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

দেখুন ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় কি? বিনিয়গ গ্রহন এবং ঋন প্রদান কর্মসূচী পালন করা বানিজ্যিক ব্যংকের প্রধান কাজ। অপরদিকে ব্যাংক হলো সম্পদের নিরাপদ সংরক্ষন এবং আশ্রয় স্থল।

ব্যাংক আমাদের আমানত নিরাপত্তার সাথে গচ্ছিত রাখে এবং জরুরী প্রয়োজনে ঋন সহায়তা দিয়ে আমাদের পাশে থাকে। তবে এই ঋন বা ব্যাংক লোন সহায়তা পেতে কিছুটা নির্ধারিত শর্ত এবং ব্যাংক কতৃক নীতি মালা থাকে। এই নীতিমালা ব্যাংক বা অবস্থা ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়।

আমাদের মনে প্রায়শই প্রশ্ন থাকে যে,  অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়, সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়, ইসলামী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়, কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়, কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়, জামানত ছাড়া ব্যাংক লোন কিভাবে পাব ইত্যাদি। চলুন তাহলে আপনাদের প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নেয়া যাক।

অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়

আপনার ব্যাংক থেকে অনলাইন লোন পেতে, আপনার ব্যাংক একাউন্টে সাইন আপ করে অনলাইন লোন আবেদন করতে  হবে। এক্ষেত্রে আপনার ব্যাংক আপনার পূর্ববর্তী ক্রেডিট হিসাবের বিবরণ দেখবে এবং তারপর লোন আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করবে। আর নতুন হলে প্রতিষ্ঠান কতৃক নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফর্মে নির্ভুল তথ্য দিন এবং নির্দেশনা অনুসরন করুন।

এক্ষেত্রে অনেক সরকারী বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আপনি এর মধ্যে শুধুমাত্র পরিচিত, বিশ্বস্ত এবং স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে লোনের জন্য আবেদন করবেন। অন্যথায় আপনার উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। সাধারণত যে সব স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান অনলাইনে লোন গ্রহনের সেবা দিয়ে থাকে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ

  • বিকাশ লিমিটেড
  • ঢাকা ব্যাংক
  • প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড
  • কর্মসংস্থান ব্যাংক
  • ব্র্যাক ব্যাংক
  • সিটি ব্যাংক ইত্যাদি

এ সকল প্রতিষ্ঠান তাদের স্ব স্ব ওয়েবসাইটে লোন আবেদনের সার্কুলার দিয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে তাদের সেবা শুধুমাত্র ওয়েবসাইটেই সীমাবদ্ধ নয় উন্নত প্রযুক্তির সাথে তাল মিলেয়ে তাদের সেবা মোবাইল অ্যাপ পর্যন্ত পৌছে গেছে। সেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গুলো শত ভাগ নিশ্চিত ভাবে উপস্থাপণ করতে হবে। আরো যা যা লাগবে তার বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হলঃ

ব্যাংক লোন পেতে যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন

  • অনলাইনে যাবতীয় কাজ করার জন্য সর্বপ্রথম একটা সচল এবং সঠিক ইমেইল আইডি প্রয়োজন হবে।
  • এর পর আপনি লোন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান খুঁজুন এবং তাদের লোনের প্রকৃতি, লোন শর্তসমূহ, সুবিধা অসুবিধা দেখুন
  • আপনার ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে তাদের মধ্যে সেরা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করুন।
  • লোন গ্রহীতাকে অবশ্যই বাংলাদেশী বংশদ্ভত জাতীয় পরিচয় পত্রধারী নাগরিক হতে হবে।
  • প্রতিষ্ঠান কতৃক নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে
  • জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি দিতে হবে।
  • আপনার পরিবার অথবা বিশ্বস্থ একজন কে নমিনি হিসেবে নির্বাচন করতে হবে।
  • গ্রাহকের মত একই ভাবে নমিনির সনাক্তকারী পরিচয় পত্রের কপি লাগবে।
  • গ্রাহক এবং নমিনি উভয়ের উক্ত প্রতিষ্ঠান কতৃক নির্ধারিত ছবি লাগবে।
  • পুরাতন লোন থাকলে তা পরিশোধিত হতে হবে।

অতঃপর আপনার সকল তথ্য নির্ভুল ভাবে সাবমিট এর পর লোন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আপনার প্রদত্ত সকল তথ্য যাচাই বাছাই করবে। এই লোনের পরিমাণ সাধারণত কম হওয়ায় জামানত ছাড়াই পেতে পারেন। এ পর্যায় তারা কয়েক কার্যদিবস সময় নিবে এবং তার মধ্যে আপনি উত্তীর্ণ হলে তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করে আপনার প্রয়োজন মত মাধ্যমে তারা লোন প্রেরন করবে। এই হলো অনলাইনে লোন প্রক্রিয়ার আপতাত সর্বশেষ আপডেট। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের পেজের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশের বৃহত্তম রাষ্ট্র মালিকানাধীন বিশ্বস্ত ব্যাংক। একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন হল প্রায় ৬০০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন প্রায় ৪১৩০ কোটি টাকা । সোনালী ব্যাংকের সুইফট কোড BSONBDDH। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় নির্মিত ঢাকার মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায়। এই ব্যাংকটির মূল উদ্দেশ্য দেশের জনসাধারণকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা এবং  অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সুদৃঢ় করা। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০০৯ সাল থেকে বিনিয়গ গ্রহন এবং ঋন প্রদান কর্মসূচী পালন করে আসছে। এ পর্যায় আমরা জানতে চলেছি

সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার পদ্দতি

  1. বাংলাদেশী নাগরিকঃ লোন গ্রহীতাকে অবশ্যই বাংলাদেশী বংশদ্ভত জাতীয় পরিচয় পত্রধারী নাগরিক হতে হবে।
  2. আবেদনকারীর পরিচয়ঃ আবেদনকারীর রঙিন ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জাতীয় পরিচয়পত্রের ২ টা কপি দিতে হবে।
  3. দক্ষতা সম্পদঃ দক্ষতা ও সম্পদ অনুযায়ী লোন প্রদান করা হয়।
  4. পরিশোধিতঃ পুরাতন লোন থাকলে তা পরিশোধিত হতে হবে।
  5. গ্যারান্টরের / জিম্মাদারেরঃ জিম্মাদারের রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি ২ কপি।
  6. কিস্তি পরিশোধঃ মাসিক কিস্তি পরিশোধের উপায় থাকতে হবে।
  7. জামানতঃ পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ আর নারীদের ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকার মত জামানত লাগতে পারে।
  8. স্পাউজ গ্যারান্টরঃ স্ত্রী/স্বামীর রঙিন ছবি ২ কপি ও স্ত্রী/স্বামীর পরিচয়পত্রের ২ কপি।
  9. ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পঃ নন-জুডিশিয়াল (দলিল লেখার) স্ট্যাম্প ৩০০ টাকার ১টি।
  10. এডেসিভ স্ট্যাম্পঃ এডেসিভ স্ট্যাম্প ৩০০ টাকার ১টি
  11. রেভেন্যু স্ট্যাম্পঃ ১০ টাকার রেভেন্যু স্ট্যাম্প-৭ টি ।
  12. ব্যালেন্স সার্টিফিকেটঃ প্রভিডেন্ট ফান্ড ব্যালেন্স সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
  13. ব্ল্যাঙ্ক চেকঃ জিম্মাদার ও ঋণগ্রহীতার স্বাক্ষরিত ব্ল্যাঙ্ক চেক।
  14. পরিমানঃ সোনালী ব্যাংক সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বচ্চ পরিমান লোনের ধরনের উপর নির্ধারিত।
  15. সুদের হারঃ সোনালী ব্যাংক ১২% হারে লোন বিতরণ করে থাকে।

যে বিষয়ের উপর ভিত্তি করে লোন দেয়া হয়

  1. পার্সনাল লোনঃ এটি একটি সহজ প্রক্রিয়ায় অনুমোদিত ঋণ তবে সাধারণত কিছু নগদ জমা এবং আপনার কাজের প্রমাণ সরবরাহ করতে হবে।
  2. চাকুরীজীবী লোনঃ বেসরকারী/স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা/কর্পোরেশনের কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং সরকারী/বেসরকারী (এমপিওভুক্ত কলেজ, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক/মাধ্যমিক বিদ্যালয়)-এর শিক্ষকবৃন্দ। আবেদনকারীকে স্থায়ী চাকুরীজীবী হতে হবে এবং এলপিআর-এ যাবার তারিখ পূর্ণ হতে কমপক্ষে তিন বৎসর চাকুরী থাকতে হবে।

সোনালী ব্যাংক এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী তাদের বর্তমানে আরো ২ ধরনের লোন সেবা চালু আছে

  1.       পল্লী ঋন বিভাগঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি মালা অনুযায়ী কৃষক প্রতি সর্বচ্চ ১৫ বিঘা অথবা ৫ একর। কিন্তু আলু এবং আখ চাষের জন্য ২.৫ একর নির্ধারিত। এক্ষেত্রে ৩ বছর মেয়াদি শস্য ঋন দিয়ে থাকে। ফসল ও মৎস ঋন এর আওতা ভূক্ত।
  2.       ক্ষুদ্র ঋন বিভাগঃ গ্রাম বাংলা এবং মফস্বল কে উন্নত করার লক্ষে এই সেবাটি আনা হয়েছে

এছাড়াও সোনালী ব্যাংক ব্যাবসায়ী লোন কার লোন ও হাউজ লোন সেবাও দিয়ে থাকে এই ছিল সোনালী ব্যাংক লোনের সকল তথ্য। সময় এবং অবস্থার সাথে তথ্যগুলো পরিবর্তনশীল

ইসলামী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান । এটি ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ইসলামি ব্যাংক হিসেবে পরিচিত । ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড একটি যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক। এর  ৩৬.৯১% দেশীয় এবং ৬৩.০৯% বিদেশি বিনিয়োগ দ্বারা পরিচালিত।

অন্যান্য ব্যাংকের মত এই ব্যাংক আমাদের আমানত নিরাপত্তার সাথে গচ্ছিত রাখে এবং জরুরী প্রয়োজনে ঋন সহায়তা দিয়ে আমাদের পাশে থাকে। তবে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড  এই ঋন বা ব্যাংক লোন সহায়তা কে “ইনভেস্টমেন্ট নামে উপস্থাপন করেছে আর ইন্টেরেস্ট বা সুদ কে “লভ্যংশ নামে । কারন এটি মুলত ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী একটি সুদ বিহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা। এ পর্যায় আমরা আলোচনা করব ইসলামী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে,

প্রথমত, অন্যসবব্যংকেরমত এখানেওব্যক্তিগতপরিচিতি, ছবি, জাতীয়পরিচয়পত্রইত্যাদিঅবশ্যইলাগবে। তবে ব্যংক ভেদে বিশেষ নিয়ম গুলো হলঃ

  1.   সর্বপ্রথম ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর যে কোন শাখায় আপনার ইনভেস্টমেন্টএর প্রয়োজন অনুসন্ধান করুন।
  2.   আপনার আয়ের উৎস উপস্থাপন করুন এবং নিশ্চিত করুন।
  3.   আপনার ইনভেস্টমেন্ট এর পরিমাণ সম্পর্কে ব্যাংককে আভিত করুন।
  4.   আয়ের উপর নির্ভর করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সর্বচ্চ ১০ টাকা পর্যন্ত ঋন সহায়তা দিয়ে থাকে।
  5.   এর জন্য তাদের লভ্যংশ বা মুনাফার হার ৭.৬০% পর্যন্ত হয়ে থাকে।

মূল কথা হল সঠিক নাগরিকত্ব এবং আয়ের নিশ্চয়তা থাকলে যে কোনো বিনিয়গকারী ব্যাংক ই আপনাকে লোন সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

করমসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

দেশের বেকার যুবদের কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ৩ বিলিয়ন টাকা মূলধন নিয়ে কর্মসংস্থান ব্যাংক ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কর্মসংস্থান ব্যাংক বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত অ-তফসিলী (Non-scheduled) ব্যাংক। ব্যাংকটি বেকারদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ ব্যংকটি খুব সহজেই ক্ষুদ্র শিল্প,  বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থান এবং দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সর্বসাধারণকে ঋন সুবিধা দিয়ে থাকে।

দেশের ক্রমবর্ধমান বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে তারা কাজ করে।

মৎস্য চাষ  প্রাণিসম্পদ,  পোল্ট্রি ফার্ম, গবাদিপশু, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, বাণিজ্যিক ইত্যাদি খাতে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন

দিয়ে থাকে। ঋন পাওয়ার জন্য-

  1. বাংলাদেশী নাগরিকঃ লোন গ্রহীতাকে অবশ্যই বাংলাদেশী বংশদ্ভত জাতীয় পরিচয় পত্রধারী নাগরিক হতে হবে।
  2. আবেদনকারীর পরিচয়ঃ আবেদনকারীর রঙিন ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জাতীয় পরিচয়পত্রের ২ টা কপি দিতে হবে।
  3. দক্ষতা সম্পদঃ দক্ষতা ও সম্পদ অনুযায়ী লোন প্রদান করা হয়।
  4. পরিশোধিতঃ পুরাতন লোন থাকলে তা পরিশোধিত হতে হবে।
  5. গ্যারান্টরের / জিম্মাদারেরঃ জিম্মাদারের রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি ২ কপি।
  6. কিস্তি পরিশোধঃ মাসিক কিস্তি পরিশোধের উপায় থাকতে হবে।
  7. প্রমান পত্রঃ ভাড়া বা লীজ-এর ক্ষেত্রে চুক্তি পত্র উপস্থাপন করতে হবে;
  8. ট্রেড লাইসেন্সঃ ১,০০,০০০/- টাকার ঊর্ধ্বে ঋণের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সের কপি
  9. ড্রাগ লাইসেন্সেরঃ ঔষধের দোকানের ক্ষেত্রে ড্রাগ লাইসেন্সের কপি;

কর্মসংস্থান ব্যাংক বাংলাদেশের সরকারী ব্যাংক যা বিভিন্ন ধরণের ঋণ প্রদান করে। যেমন- গৃহঋণ ঋণ, বিদেশভ্রমণ ঋণ, আবাসিক লোন ইত্যাদি। স্বনির্ভর করে তোলা এ ব্যাংকের প্রধান কাজ।

জামানত ছাড়া ব্যাংক লোন কিভাবে পাব

বাংলাদেশে কোন ব্যাংক জামানত ছাড়া লোন প্রদান করে না কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট লোন সময় সাপেক্ষে জামানত ছাড়াও প্রদান করা হয়।

জামানত হল ব্যাংক থেকে লোণ বা ঋণের বিপরীতে যে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হয়। কর্মসংস্থান ব্যাংক সহ অন্যান্ন কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান জামানত ছাড়া ক্ষুদ্র ঋন ও  স্বল্প মেয়াদী ঋন দিয়ে থাকে। আর দীর্ঘ মেয়াদী ঋন জামানত ছাড়া নিতে অবশ্যই স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। অথবা ক্রেডিট কার্ড ব্যাবহার কারী হতে হবে।

ব্যাংক জামানত ছাড়াও মাইক্রো ক্রেডিট  বা পার্সোনাল লোন দেয়। এছাড়াও, কিছু লোন প্রদানকারী কোম্পানি জামানত ছাড়া লোন দেয় যেমন স্টার্টআপ লোন, স্টুডেন্ট লোন ইত্যাদি। এই ধরণের লোনে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত বিনিময় এবং ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত ইনকামের উপর ভিত্তি করে প্রদান করা হয়।এ ব্যংকটি খুব সহজেই ক্ষুদ্র শিল্প,  বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থান এবং দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সর্বসাধারণকে ঋন সুবিধা দিয়ে থাকে।

তবে আপনি কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে খুব সহজেই জামানত ছাড়া ঋন নিতে পারেন।দেশের বেকার যুবদের কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ৩ বিলিয়ন টাকা মূলধন নিয়ে কর্মসংস্থান ব্যাংক ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।দেশের ক্রমবর্ধমান বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে তারা কাজ করে।

জামানত ছাড়া ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

  1.       বাংলাদেশী নাগরিকঃ লোন গ্রহীতাকে অবশ্যই বাংলাদেশী বংশদ্ভত জাতীয় পরিচয় পত্রধারী নাগরিক হতে হবে।
  2.       প্রাপ্ত বয়সঃ আবেদনকারীকে বয়স ১৮ থেকে ৪০ এর মধ্যে হতে হবে।
  3.       আবেদনকারীর পরিচয়ঃ আবেদনকারীর রঙিন ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ২ টা কপি দিতে হবে।
  4.       প্রশিক্ষনঃ আবেদন কারীকে অবশ্যই কারিগরি প্রশিক্ষনের সনদ প্রাপ্ত হতে হবে।
  5.       গ্যারান্টরের / জিম্মাদারেরঃ জিম্মাদারের রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি ২ কপি।
  6.       কিস্তি পরিশোধঃ মাসিক কিস্তি পরিশোধের উপায় থাকতে হবে।
  7.       প্রমান পত্রঃ ভাড়া বা লীজ-এর ক্ষেত্রে চুক্তি পত্র উপস্থাপন করতে হবে;
  8.       ট্রেড লাইসেন্সঃ ১,০০,০০০/- টাকার ঊর্ধ্বে ঋণের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সের কপি
  9.       ড্রাগ লাইসেন্সেরঃ ঔষধের দোকানের ক্ষেত্রে ড্রাগ লাইসেন্সের কপি;

অতঃপর আপনার সকল তথ্য নির্ভুল ভাবে দেওয়ার পর লোন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আপনার প্রদত্ত সকল তথ্য যাচাই বাছাই করবে। এই লোনের পরিমাণ সাধারণত কম হওয়ায় জামানত ছাড়াই পেতে পারেন। এ পর্যায় তারা কয়েক কার্যদিবস সময় নিবে এবং তার মধ্যে আপনি উত্তীর্ণ হলে তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করে লোন প্রদান করবে।

এই ছিল জামানত ছাড়া লোনের আপাতাত সর্বশেষ আপডেট। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।

ব্যাংক সংক্রান্ত আরো কিছু তথ্য

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *