ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম বিশ্বের প্রতিটি দেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স আলাদা আলাদা হয়। আপনি একটি দেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে অন্য দেশে গাড়ি চালাতে পারবেন না। তবে যদি দুটি দেশের মধ্যে পারস্পরিক যুক্তি থাকে, তাহলে একটি দেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে অন্য দেশে গাড়ি চালাতে পারবেন।
বাংলাদেশে বিআরটিএ কতৃক ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়। আপনি চাইলে বিআরটিএর নিকটস্থ অফিসে গিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন অথবা আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমেও ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রতিটি গাড়ির জন্য আলাদা আলাদা ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়। আপনি যদি বাইক চালান সে ক্ষেত্রে আপনাকে বাইকের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে। আর আপনি যদি ট্রাক-পিকআপ ইত্যাদির মত গাড়ি চালান তাহলে আপনাকে সেটার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে।
আরো দেখে আসতে পারেনঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কি কি প্রয়োজন
১. আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন
২. আপনার গাড়ির সঠিক কাগজপত্র
৩. আপনি যে গাড়ির লাইসেন্স নিতে চান সেই গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা।
৪. মেডিকেল চেকআপ এর একটি কপি
কিভাবে নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করবেন
আপনার নিকটস্থ বিআরটিএ অফিস থেকে আপনি চাইলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিআরটিএ অফিসে গিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন এর ফরম সংগ্রহ করুন অথবা আপনি যেকোনো কম্পিউটার দোকান থেকেও এটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমেও ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন এর ফরম টি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
আবেদন ফরমটি প্রিন্ট করার পরে সেখানে আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন গুলো সঠিকভাবে লিখে দিন। আপনার ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করার পরে আপনার স্বাক্ষর দিয়ে বিআরটিএ অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে আসুন। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফি সরকারে ফরম জমা দিয়ে আসুন। সবকিছু জমা দেওয়ার পরে বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তারা আপনাকে জানিয়ে দিবে কবে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে চেষ্টা করবেন বিআরটিএ অফিসের কোন ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার নিয়ে আসার জন্য, এতে করে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের অবস্থা জানতে পারবেন।
আরো দেখে আসতে পারেনঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন
অনলাইনে আপনি বিআরটিএ ওয়েবসাইট থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনারা বিআরটিএ ওয়েবসাইট এ চলে যান।
তারপর সেখানে রেজিস্ট্রেশন করুন। রেজিস্ট্রেশন করার পরে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গুলো পূরণ করুন। তারপরে আপনি যে গাড়ির জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করতে চান সেটা সিলেক্ট করুন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের নির্ধারিত ফি জমা দিন অথবা চালানের মাধ্যমে জমা দিন। এরপর আপনার আবেদনটি বিআরটিএ অফিসে চলে যাবে। আপনি যে জেলার জন্য লাইসেন্স আবেদন করেছেন সেই জেলার অফিস থেকে আপনাকে দেখানো হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহকারে অফিসে যাবেন এবং আপনার লাইসেন্স এর তথ্য গুলো ভেরিফাই করে নেবেন।
লাইসেন্স এর তথ্য গুলো ভেরিফাই করার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার লাইসেন্স আপনি হাতে পেয়ে যাবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম
আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স টা সঠিক কিনা সেটা চেক করার জন্য আপনি আপনার নিকটস্থ বিআরটিএ অফিসে চলে যান। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আপনার লাইসেন্স চেক করার কথা বললেই তিনি আপনার লাইসেন্স এর তথ্য ভেরিফাই করে দিবেন।
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম
আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমেও ড্রাইভিং লাইসেন্স ভেরিফাই করে নিতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স ভেরিফাই করার জন্য আপনি বিআরটিএ ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর টাইপ করে আপনার সকল তথ্য জানতে পারবেন।
আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স যদি সঠিক হয় তাহলে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নম্বর অনলাইনে এন্ট্রি করার সাথে সাথে আপনার সকল তথ্য সেখানে দেখতে পাবেন। আর আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স যদি অবৈধ বা ভুল হয়, তাহলে অনলাইনে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের নম্বর দিয়ে সার্চ করলেও ড্রাইভিং লাইসেন্সের কোন তথ্য পাবেন না।
ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের ক্ষেত্রে করণীয়
১. আপনার অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট থাকতে হবে।
২. আপনার শারীরিক কোনো সমস্যা থাকলে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেটের সমস্যা হবে। তাই লাইসেন্সের আবেদন করার আগে মেডিকেল চেকআপ করে নিবেন এবং সেটার একটি কপি আবেদন করার সময় জমা দিবেন।
বন্ধুরা আজকের পোস্টটি এ পর্যন্তই। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আরো দেখে আসতে পারেনঃ অনলাইনে বাসের টিকিট কাটার নিয়ম