Skip to content

কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত রাখার উপায়

কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত রাখার উপায় বর্তমানে কম্পিউটার গুলো দিন দিন অনেক এডভান্স হচ্ছে। কম্পিউটার গুলো যত বেশী আধুনিক হচ্ছে, কম্পিউটার ভাইরাস গুলো তার চেয়েও বেশী আধুনিক হচ্ছে। একটি কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পরে, ওই কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ ডাটাগুলো বেশিরভাগ সময় ফেরত পাওয়া যায় না।

কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত রাখার উপায়

আজকের পোষ্টে মাধ্যমে আমরা জানবো কম্পিউটার ভাইরাস কি এবং কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত রাখার উপায়। তাহলে চলুন শুরু করি |

আরো পড়ুন

কম্পিউটার ফাস্ট করার উপায়

কম্পিউটার ভাইরাস কি?

কম্পিউটার ভাইরাস হলো এমন একটি প্রোগ্রাম বাবাই যেটি ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়া তার কম্পিউটার প্রোগ্রাম এ প্রবেশ করে।

কম্পিউটার ভাইরাস গুলো এমন ভাবে তৈরি করা হয়, যাতে করে সে ভাইরাস গুলো একটি কম্পিউটারের বিভিন্ন ত্রুটি খুঁজে বের করে, সেই ত্রুটি মধ্যে দিয়ে সেই কম্পিউটারে প্রবেশ করতে পারে।

কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত রাখার উপায়

কম্পিউটার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে  প্রায়ই  দরকার পড়ে | কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত রাখতে হলে কম্পিউটারের যেসব অতিরিক্ত ফোল্ডার বা অ্যাপস থাকে সেগুলো ক্লিন করে রাখা উচিত| অতিরিক্ত অপ্রয়োজনে অ্যাপস সফটওয়্যার ব্যবহার না করা| কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো|

পাইরেটেড বা ক্রাক সফটওয়্যার এর ব্যবহার

কম্পিউটারের বেশিভাগ অ্যাপস কিনে ব্যবহার করতে হয়। কম্পিউটার অ্যাপস গুলোর মূল্য অনেক বেশি হাওয়া, আমরা বিভিন্ন ধরনের ক্রাক সফটওয়্যার ব্যবহার করি। এই ক্রাক সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস থাকতে পারে। তাই এগুলো ব্যবহার করার আগে অবশ্যই স্ক্যান করে নিবেন। এছাড়া ট্রাস্টেড ওয়েবসাইট থেকে ক্রাক সফটওয়্যার ডাউনলোড করবেন।

এক্সটার্নাল ডিভাইস এর ব্যবহার

আমরা কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের এক্সটার্নাল ডিভাইস (যেমন: পেনড্রাইভ) ব্যবহার করি। এগুলো থেকেও কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। তাই এগুলো ব্যবহার করার আগে অবশ্যই এন্টিভাইরাস দিয়ে পেন ড্রাইভ বা এক্সটার্নাল ডিভাইস গুলো স্ক্যান করে নিবেন।

এন্টিভাইরাস এর ব্যবহার

আপনার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম যদি উইন্ডোজ ১০ বা তার উপরের ভার্সন হয়, তাহলে উইন্ডোস এর মধ্যে ডিফল্ট ভাবে “উইন্ডোজ ডিফেন্ডার” নামে একটি অ্যান্টিভাইরাস দেওয়া আছে। সেটা সব সময় অন রাখবেন। আর যদি উইন্ডোজ ১০ এর নিচের ভার্শন হয়, তাহলে অবশ্যই ভালো কোন কোম্পানির অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন। এতে করে আপনি ভাইরাস থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকবেন।

ওয়েবসাইট থেকে সুরক্ষা

আমরা ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সময় বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করি। সেখান থেকেও কিন্তু আমাদের কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। তাই অবশ্যই আপনি যে ব্রাউজার ব্যবহার করবেন সেই ব্রাউজারে বিভিন্ন ধরনের এন্টিভাইরাস প্রটেকশন রয়েছে, সেগুলো অন রাখবেন।

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে

বর্তমানে প্রায় সবাই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় অফার, অ্যাপ ইত্যাদি দেখা যায়। যেগুলোকে আমরা আমাদের অজান্তেই অনেক সময় ক্লিক করে ফেলি। সেখান থেকেও আমাদের কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার কোন লিংকে ক্লিক করার আগে অবশ্যই সেটা স্ক্যান করে নেবেন।

মেসেজের মাধ্যমে

বিভিন্ন ধরনের মেসেজিং অ্যাপস বা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপসের মাধ্যমে কেউ আমাদেরকে কোন লিঙ্ক পাঠালে, আমরা সেটা না জেনেই ওপেন করে ফেলি। এতে করে আমাদের কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। তাই কেউ আপনাদেরকে যদি কোন ধরনের লিঙ্ক বা ফাইল পাঠায় তাহলে সেগুলো অবশ্যই এন্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করে নেবেন।

ইমেইলের মাধ্যমে

বর্তমানে ইমেইল এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। অনেকেই আমাদেরকে ইমেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের লিঙ্ক বা ফাইল পাঠায়। যেগুলোতে ভাইরাস থাকতে পারে, তাই সেগুলো এন্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করার আগে ওপেন করবেন না।

আজকের পোস্ট নিয়ে আমাদের শেষ কথা

আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরিশেষে, আপনার নিজের সচেতনতার ফলেই একমাত্র আপনি কম্পিউটার ভাইরাস থেকে বাঁচতে পারবেন। উপরে আমি যে পয়েন্ট গুলো আলোচনা করেছি, সেই গুলো সঠিকভাবে মেনে চললে আপনি অনেকটাই কম্পিউটার ভাইরাস থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন। তবে অযথা কোনো ভারী এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন না। এতে করে আপনার কম্পিউটার আরো বেশি স্লো কাজ করবে। কম এমবি বা লাইট-ওয়েট এন্টিভাইরাস ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে |

আরো পড়ুন

অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *