বর্তমানে এক মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট বা ব্যাংক একাউন্ট থেকে অন্য ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানো যাবে অতি দ্রুত বিনিময় এর মাধ্যমে। বিনিময় একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে যারা না জানেন এই লেখাটির মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন কি কি পদ্ধতিতে বিনিময় একাউন্ট খোলা যায়।
বিনিময় একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিনিময় একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে ইন্টারনেট ব্যাংকিং কি মোবাইল ব্যাংকিং এর অফিশিয়াল অ্যাপ্লিকেশন এ প্রবেশ করে “বিনিময়” অপশনে যান। এখানে ইমেল আইডি অথবা ইউনিক আইডি নাম্বার দিয়ে একাউন্ট সেট করে ৬ সংখ্যার একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে। এরপরে এটিকে সাবমিট করলে বিনিময় একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।
তবে বিনিময় একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে আপনাকে একটু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে একটি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে শুধুমাত্র একটি বিনিময় একাউন্ট খোলা সম্ভব। কোনভাবেই একাধিক বিনিময় একাউন্ট তৈরি করা যাবে না।
বিনিময় একাউন্ট খোলার পদ্ধতি
বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় ব্যাংকিং এর মাধ্যম হলো বিনিময়। বিনিময় একাউন্ট খোলার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। এই লেখাটিতে আমরা কয়েকটি সেরা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই একটি বিনিময় অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারবে।
এই লেখাটিতে আমরা বিনিময় একাউন্ট খোলার যে সকল পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব সেগুলো হলোঃ
- বিকাশের মাধ্যমে বিনিময় একাউন্ট
- রকেট এর মাধ্যমে বিনিময় একাউন্ট
বর্তমান সময়ে বিকাশ ও রকেট হলো সবথেকে জনপ্রিয় ইন্টারনেট মোবাইল ব্যাংকিং। এবং বিনিময় হলো এক মোবাইল ব্যাংকিং থেকে অথবা ব্যাংক একাউন্ট থেকে অন্য ব্যাংকে একাউন্ট কিংবা মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট এ দ্রুত টাকা পাঠানোর মাধ্যম। তো চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে বিকাশ কোন্নগর এর মাধ্যমে বিনিময় একাউন্ট খোলা সম্ভব।
বিকাশ এর মাধ্যমে বিনিময় একাউন্ট খোলার পদ্ধতি
বিকাশ থেকে বিনিময় একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে আপনাকে বিকাশ অ্যাপ্লিকেশন এ প্রবেশ করতে হবে। যদি আপনার ফোনে বিকাশ অ্যাক্টিভেশন না থাকে সে ক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোর থেকে আপনারা বিকাশের অফিস এপ্লিকেশন ডাউনলোড করে আপনাদের অ্যাকাউন্ট লগইন করে নিবেন।
১. বিকাশের মাধ্যমে বিনিময় একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে বিকাশ অ্যাপ্লিকেশন এ প্রবেশ করুন।
২. এখান থেকে একটু নিচে স্ক্রল করলেই আপনারা “বিনিময়” নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন এখানে প্রবেশ করে “রেজিস্টার” বাটনে ক্লিক করুন।
৩. এখান থেকে প্রথমে আপনার একটি ইমেইল এড্রেস দিন এবং দ্বিতীয়তে একটি ইউজার নাম দিতে হবে। ইউজারনেম দুইবার ব্যবহার করা হবে না তাই একটু ডিফারেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তাতেও যদি না হয় সে ক্ষেত্রে আপনারা নামের পরে সংখ্যা বসাবেন, আলাদা আলাদা ভাবে ট্রাই করে দেখবেন।
৪. এরপরে আপনাকে একটি ৬ সংখ্যার ইউনিক পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
৫. ভালোভাবে পাসওয়ার্ড সেট করে Submit বাটনে ক্লিক করলে, কিছু সময় পরে আপনার বিনিময় একাউন্ট চালু হয়ে যাবে।
উপরে দেখানোর নিয়ম কানুন গুলো ফলো করে খুব সহজেই আপনার আয়ের বিকাশের মাধ্যমে একটি বিনিময় অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। বিকাশ কিংবা রকেট এর মাধ্যমে বিনিময় অ্যাকাউন্ট তৈরি করা খুবই সহজ পদ্ধতি।
রকেটের মাধ্যমে বিনিময় একাউন্ট খোলার পদ্ধতি
বিকাশ এর পাশাপাশি বাংলাদেশের জনপ্রিয় অন্যতম একটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হলো রকেট। রকেট একাউন্ট ব্যবহার করলেও আপনারা একটি বিনিময় একাউন্ট খুলতে পারবেন। তবে রকেটের মাধ্যমে বিনিময় একাউন্ট খোলার জন্য অবশ্যই আপনাদের রকেট অ্যাপ্লিকেশন প্রয়োজন হবে।
যাদের ফোনে রকেট এপ্লিকেশন ইন্সটল করা নাই তারা গুগল প্লে-স্টোর থেকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে রকেট অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে পারবেন। রকেট অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে ইনস্টল করে আপনার অ্যাকাউন্ট লগইন করে নিন।
১. রকেটের মাধ্যমে বিনিময় একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে রকেট অ্যাপ্লিকেশন এ প্রবেশ করুন।
২. এখান থেকে একটু নিচে স্ক্রল করলেই আপনারা “বিনিময়” নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন এখানে প্রবেশ করুন।
৩. এখান থেকে প্রথমে আপনার একটি ইমেইল এড্রেস দিন এবং পরবর্তীতে একটি ইউজার নাম দিতে হবে। যদি না হয় সে ক্ষেত্রে আপনারা নামের পরে সংখ্যা বসাবেন। আলাদা আলাদা ভাবে ট্রাই করে দেখবেন।
৪. আপনার বিনিময় একাউন্টে টাকা পাঠালে সরাসরি রকেট একাউন্টে জমা হবে, আপনি যদি এমনটা চান তাহলে Is default credit account? এই অপশনটি কে YES করে দিন।
৫. পরবর্তীতে ৬ সংখ্যার একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে Submit বাটনে ক্লিক করুন।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনারা খুব সহজেই বিকাশ ও রকেট এর মাধ্যমে বিনিময় একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন। আশা করিছি বিনিময় একাউন্ট খোলার নিয়ম বুঝতে পেরেছেন। এরপরেও যদি বিনিময় একাউন্ট খুলতে কি কোন সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাতে পারেন।
বিনিময় একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে সর্তকতা
বিনিময় একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে আমাদের একটু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আমরা খেয়াল রাখব একটি ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে যেন একাধিক বিনিময় একাউন্ট খোলার না হয়। তাহলে পরবর্তীতে ঐ সকল অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সব সময় একটি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে একটি মাত্র বিনিময় একাউন্ট খোলার চেষ্টা করব। এছাড়াও বিনিময় একাউন্ট খোলার সময় আপনারা যে এই ৬ ডিজিটাল পাসওয়ার্ড এবং ইউজার নেইম সংগ্রহ করে রাখবেন। কেননা পরবর্তীতে আপনার এই তথ্যগুলো প্রয়োজন হতে পারে।