Skip to content

মাস্টার কার্ড করার নিয়ম

মাস্টার কার্ড করার নিয়ম বর্তমানে অনলাইন কেনাকাটা, গেম এবং অন্যান্য লেনদেনে মাস্টারকার্ড খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া আমরা যদি বিদেশি কোনো পণ্য কিনতে চায় তাহলে অবশ্যই ডলার দিয়ে কিনতে হবে। ডলার ছাড়া আমরা বিদেশী কোন ওয়েবসাইট থেকে কোন পণ্য কিনতে পারব না। বিদেশী কোন ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কিনতে সাহায্য করে মাস্টার কার্ড।

ইন্টারন্যাশনাল একটি মাস্টার কার্ড দিয়ে আপনি বিদেশি বা যেকোন দেশের যেকোন ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। এছাড়া আপনি অনলাইনের যেকোনো ধরনের প্রেমেন্ট মাস্টার কার্ড দিয়ে করতে পারবেন।

আরো দেখে আসতে পারেনঃ

পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম 2022 

মাস্টার কার্ড কত প্রকার

ব্যবহারিক দিক থেকে মাস্টার কার্ড দুই প্রকার:

১. ফিজিক্যাল মাস্টার কার্ড।

২. ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড।

ফিজিক্যাল মাস্টার কার্ড

ফিজিক্যাল মাস্টার কার্ড গুলো সাধারণত বিভিন্ন দেশের ব্যাংক থেকে প্রোভাইড করা হয়। এই ধরনের মাস্টার কার্ড গুলো আপনি হাত দিয়ে ছুতে পারবেন এবং যেকোন এটিএম থেকে সরাসরি টাকা উঠাতে পারবেন। ফিজিক্যাল মাস্টার কার্ড গুলো সাধারনত প্লাস্টিকের হয় এবং এর গায়ে একটি ইলেকট্রনিক চিপ থাকে, চিপ এর সাহায্যে যেকোনো কার্ড রিডার এর মাধ্যমে এই কার্ডকে শনাক্ত করা হয়।

এছাড়া ফিজিক্যাল মাস্টারকার্ডের গায়ে মাস্টার কার্ডের নাম্বার, এর মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ এবং সি ভি ভি নাম্বার উল্লেখ থাকে। এই তথ্যগুলো দিয়ে আপনি অনলাইনে ও ফিজিক্যাল মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। ফিজিক্যাল মাস্টারকার্ড গুলোতে বাৎসরিক চার্জ দিতে হয়। বিভিন্ন ব্যাংক তাদের সুবিধা অনুযায়ী বিভিন্ন চার্জ নির্ধারণ করে।

মাস্টার কার্ড করার নিয়ম

এছাড়া ফিজিক্যাল মাস্টারকার্ড গুলোতে লিমিটেশন থাকে, মানে আপনি এই কার্ডের মাধ্যমে দৈনিক বা মাসিক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ লেনদেন করতে পারবেন। এই লিমিট শেষ হওয়ার পরে আপনার কার্ডের মাধ্যমে কোন লেনদেন করতে পারবেন না। তবে ঐদিন বা মাস শেষ হওয়ার পরে আবার লেনদেন করতে পারবেন।

ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড

ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ডে ফিজিক্যাল মাস্টারের মতোই সব ধরনের কাজ করা যায়। তবে ফিজিক্যাল মাস্টার কার্ডের মত এটিএম থেকে ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে টাকা উঠাতে পারবেন না। এছাড়া ভার্চুয়াল মাস্টারকার্ড গুলোতে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বেশিভাগ ব্যাংক-কোম্পানি ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড গুলো ফ্রিতে দিয়ে থাকে। যার ফলে আপনাকে মাসিক বা বাৎসরিক কোন ধরনের চার্জ দিতে হবে না।

তবে ফিজিক্যাল মাস্টার কার্ডের মতই বাচ্চার মাস্টারকার্ডের লিমিটেশন রয়েছে। ব্যাংক বা কোম্পানি তাদের কার্ডের মধ্যে দৈনিক বা মাসিক লিমিট দিয়ে দিয়েছে শুধুমাত্র সেই লিমিট পর্যন্ত আপনি টাকা লেনদেন করতে পারবেন। লিমিট শেষ হওয়ার পরে আপনার ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে কোনো লেনদেন করতে পারবেন না।

ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড ব্যাংক ছাড়াও বিভিন্ন কম্পানিও প্রোভাইড করে। তবে রেজিস্টার্ড ব্যাংক বা কোম্পানিগুলো একটি ফিজিক্যাল মাস্টার কার্ড এর বিনিময়ে একটি ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড দিয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু ব্যাংক বা কোম্পানি ভার্চুয়াল মাস্টারকার্ড সম্পূর্ণ ফ্রিতে দিয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু কোম্পানি ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ডের জন্য সামান্য কিছু চার্জ নির্ধারণ করে। তবে এই চার খুবই সামান্য হয়, যার কারণে আপনি ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়া ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে আপনারা অনলাইনের সকল ধরনের পেমেন্ট করতে পারবেন। তবে কিছু ফালতু কোম্পানির মাস্টারকার্ড যদি নেন তাহলে অনলাইনের বেশিভাগ পেমেন্ট করতে পারবেন না। তাই চেষ্টা করবেন ভালো কোন কোম্পানির ভার্চুয়াল মাস্টারকার্ড নেওয়ার। এতে করে আপনি অনলাইনের গুগল প্লে, ফেসবুক এডভেটাইজ, গেম পেমেন্ট সহ অন্যান্য লেনদেন খুব সহজে করতে পারবেন।

মাস্টার কার্ড করার নিয়ম

মাস্টার কার্ড করার জন্য উপরে উল্লেখিত সকল তথ্যাদি মেনে  যে ব্যাংকে আপনার একাউন্ট রয়েছে 

ব্যাংকে গিয়ে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে| আবেদন গ্রহণযোগ্য হলে আপনাকে কিছুদিনের মধ্যে একটি মাস্টারকার্ড প্রদান করা হবে

১. ব্যাংকের মাধ্যমে:

মাস্টার কার্ড করার নিয়ম 

আপনি যে দেশে থাকেন সেই দেশের যেসব ব্যাংক গুলো ডুয়েল কারেনসি মাস্টারকার্ড প্রোভাইড করে তাদের থেকে আপনি একটি ডুয়েল কারেনসি মাস্টার কার্ড পেতে পারেন। তবে আপনি চাইলে সিঙ্গেল কারেন্সি মাস্টার কার্ড নিতে পারেন। তবে সিঙ্গেল কারেন্সি মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে আপনি ইন্টারন্যাশনাল কোন ধরনের পেমেন্ট করতে পারবেন না। তাই আপনি যে ব্যাংকের মাধ্যমে মাস্টার কার্ড নিবেন সেই ব্যাংক থেকে সেই কার্ড এর সকল ডিটেলস আগে জেনে নেবেন।

কারণ বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক তাদের মাস্টারকার্ডের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে। এই সুবিধার উপর নির্ভর করে ব্যাংকগুলো তাদের মাস্টার কার্ডের চার্জ কম বেশি নির্ধারণ করে। তাই অবশ্যই কোন ব্যাংক থেকে মাস্টার কার্ড নেওয়ার আগে অবশ্যই সেই ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে কার্ড সম্পর্কে ভালভাবে বিস্তারিত জেনে নেবেন।

ব্যাংকে গেলে আপনাকে একটি ফ্রম দিবে, সেই ফরমটি সুন্দর ভাবে পূরণ করার মাধ্যমে আপনি দুই-তিনদিনের মধ্যেই মাস্টার কার্ড পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংক ফিজিক্যাল মাস্টার কার্ডের সাথে একটি ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড দিয়ে থাকে। তবে আপনাকে প্রথমে তাদের ফিজিক্যাল মাস্টার কার্ড নিতে হবে তারপর তারা আপনাকে একটি ফ্রি ভার্চুয়াল মাস্টারকার্ড প্রোভাইড করবে।

২. অনলাইনের মাধ্যমে

অনলাইনের মাধ্যমেও বিভিন্ন কোম্পানি তাদের মাস্টারকার্ড প্রোভাইড করে। আপনি চাইলে তাদের মাস্টার কার্ড গুলো নিতে পারেন। তবে অনলাইনে বিভিন্ন প্রতারক মাস্টার কার্ডের নাম করে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, তাই এগুলো থেকে একটু সাবধান থাকবেন।

আপনি চাইলে PayPal, Payoneer, pyyal ইত্যাদি কোম্পানির থেকে সরাসরি মাস্টার কার্ড নিতে পারেন। এরমধ্যে pyyal এর মাধ্যমে আপনি মাত্র 2 মিনিটে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে খুব সহজে মাস্টার কার্ড নিতে পারেন। অন্যান্য কোম্পানি যেমন: পেপাল এবং পেওনিয়ার এর কিছু শর্ত রয়েছে সে সত্যগুলো পূর্ণ করলে আপনাকে তারা মাস্টারকার্ড প্রোভাইড করবে।

pyyal এর মাধ্যমে কার্ড পাওয়ার নিয়ম

প্রথমে আপনারা প্লে স্টোরে গিয়ে pyyal এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস টি ডাউনলোড করে নিন। তারপরে একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে আপনি আপনার মোবাইল নম্বর দিয়ে কোডের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করে নিন। মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন শেষে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র স্ক্যান করতে বলবে, সেগুলোর দুইপাশ স্ক্যান করে নিন। স্ক্যান করার পরে আপনার একটি সেলফি তুলুন। এখানে কোন ছবি আপলোড করতে পারবেন না। আপনার সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনি একটি pyyal এর কার্ড পেয়ে যাবেন।

এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি অনলাইনের সকল ধরনের পেমেন্ট করতে পারবেন। এই কার্ডে ডলার রিচার্জ করার জন্য তাদের নির্দিষ্ট ডিস্ট্রিবিউটর এর মাধ্যমে রিচার্জ করতে পারবেন। এছাড়া অনলাইনে বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে ও pyyal এর ডলার রিচার্জ করা যায়। বিশ্বস্ত গ্রুপের মাধ্যমে আপনারা এই কার্ডের ডলার রিচার্জ করতে পারবেন। আমার পরামর্শ থাকবে আপনারা অন্যান্য কার্ড এর তুলনায় এই কার্ডটা ব্যবহার করুন। এই কার্ড ব্যবহার করে আপনারা অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।

Pyypl কার্ড এর সুবিধা

মাস্টার কার্ড করার নিয়ম 

১. গুগল প্লে স্টোর এর পেমেন্ট করতে পারবেন।

২. ফেসবুকে বুষ্ট করতে পারবেন।

৩. গুগোল এ এডভেটেস করতে পারবেন।

৪. ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলো থেকে পেমেন্ট রিসিভ করতে পারবেন।

৫. প্রতিটি লেনদেনের তথ্য আপনার এসএমএস এবং অ্যাপসে চলে আসবে।

৬. কার্ডের মেয়াদ শেষ হলে মাত্র এক ডলারের বিনিময়ে কার্ড রিনিউ করতে পারবেন।

৭. অনলাইনের বাবি দেশের যেকোনো ওয়েবসাইটের পেমেন্ট করতে পারবেন।

৮. অ্যাপসের মাধ্যমে কার্ডের সম্পূর্ণ কন্ট্রোল পাবেন।

৯. যেকোনো সময় কার্ড ডিজেবল বা এনাবল করতে পারবেন।

বর্তমানে এই কার্ডটি অনেক বেশি জনপ্রিয়। এর কারণ হচ্ছে এই কার্ড করতে আপনাকে খুব বেশি ঝামেলা পোহাতে হবে না। আপনি খুব সহজেই এই কার্ডে ডলার লোড করতে পারবেন। সেই ডলার আপনি অনলাইনের বিভিন্ন পেমেন্টে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া আপনার উপার্জিত ইনকাম আপনি এই কার্ডে রিসিভ ও করতে পারবেন। এই কার্ডের মেয়াদ 1 বছর, তবে আপনি চাইলে এক বছর পর মাত্র 1 ডলার দিয়ে কার্ড রিনিউ করতে পারবেন।

কোন কারণে যদি আপনার ভার্চুয়াল কার্ড টির তথ্য অন্য কেউ জেনে যায় তাহলে আপনি অ্যাপসের মাধ্যমে খুব সহজেই কার্ডটি ডিজেবল করে রাখতে পারবেন। এতে করে এই কার্ডে কেউ কোনো লেনদেন করতে পারবে না।

আরো দেখে আসতে পারেনঃ

ব্যাংক ড্রাফট কিভাবে করতে হয় | How to make a bank draft

ভার্চুয়াল কার্ড নিয়ে সাবধানতা

অনলাইনে দেখবে না অনেকেই আপনাকে বিভিন্ন বিদেশী ব্যাংকের ভার্চুয়াল কার্ড করে দিবে। এই কার্ডগুলো ব্যবহার করার আগে অবশ্যই এই কার্ড সম্পর্কে সকল তথ্য জেনে নিবেন। কারণ অনলাইনের বেশিভাগ ভার্চুয়াল কার্ড গুলো অন্যজনের ডিটেলস ব্যবহার করে করা হয়। যার ফলে ভবিষ্যতে যদি কার্ড নিয়ে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হয়, তাহলে আপনি সেই সমস্যার সমাধান পাবেন না।

আর অবশ্যই ভার্চুয়াল কার্ড নিজের ডকুমেন্ট ব্যবহার করে তৈরি করবেন। এতে করে ভবিষ্যতে যদি কার্ড নিয়ে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হয় তাহলে আপনি খুব সহজেই কার্ড কোম্পানি গুলোর সাথে কথা বলে সমাধান পেয়ে যাবেন।

ভার্চুয়াল কার্ড সমস্যা সমাধানের জন্য অবশ্যই ভাল কোন রেজিস্টার্ড ব্যাংক বা কোম্পানির মাধ্যমে ভার্চুয়াল কার্ড নিবেন। এতে করে ভবিষ্যতে আপনি প্রতারিত হবেন না। কারণ রেজিস্টার্ড ব্যাংক বা কোম্পানিগুলো কোন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকে। যার কারণে ঐসব কার্ডের প্রতিটি লেনদেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্ভারে জমা থাকে। ভবিষ্যতে কার্ড নিয়ে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হলে আপনি সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গিয়ে ও এর সমাধান করতে পারবেন।

এছাড়া অনলাইনে কার্ড কেনার আগে অবশ্যই ব্যাংক বা কোম্পানি থেকে কার্ড এর সম্পূর্ণ এক্সেস দিবে কিনা সেটা জেনে নেবেন। ভার্চুয়াল কার্ড এর প্রতিটি লেনদেনের ডিটেলস আপনি দেখতে পাবেন কিনা সেগুলো অবশ্যই জেনে নেবেন।

বন্ধুরা আশাকরি মানুয়াল মাস্টার কার্ড বা ফিজিক্যাল মাস্টারকার্ডের সকল সমস্যার সমাধান আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে পেয়েছেন। আপনাদের যদি মাস্টার কার্ড নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন।

সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

মাস্টার কার্ড করার নিয়ম কি?

মাস্টার কার্ড করার জন্য উপরে উল্লেখিত সকল তথ্যাদি মেনে  যে ব্যাংকে আপনার একাউন্ট রয়েছে 
ব্যাংকে গিয়ে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে| আবেদন গ্রহণযোগ্য হলে আপনাকে কিছুদিনের মধ্যে একটি মাস্টারকার্ড প্রদান করা হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *