গুগলে সার্চ এর নিয়ম গুগল বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ব্যবহৃত সার্চ ইঞ্জিন। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজে গুগলের সাহায্য নেই। বর্তমানে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অনেক কোম্পানি তাদের নিজেদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য গুগলের সাহায্য নিয়ে থাকে। পৃথিবীতে মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য যদি গুগল বন্ধ থাকে তাহলে ওই সময়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা লস হয়ে যেতে পারে।
আমরা প্রায় সবাই গুগলে কিভাবে সার্চ করতে হয় সে সম্পর্কে জানি। কিন্তু কিভাবে প্রফেশনাল ভাবে গুগলে সার্চ করে একটি কাঙ্খিত তথ্য বের করে আনা যায় সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। বিশেষ করে যারা এসইও নিয়ে কাজ করে তাদেরকে অবশ্যই অ্যাডভান্স লেভেলের গুগল সার্চ সম্পর্কে জানতে হয়। তা না হলে সেই ব্যক্তি সঠিকভাবে একটি কনটেন্ট বা ওয়েবসাইট এসইও করতে পারে না।
আরো দেখে আসতে পারেনঃ-
ফিল্টার করার মাধ্যমে গুগল সার্চ
আপনারা হয়তো অনেকেই খেয়াল করে দেখবেন, আপনি যখন গুগলে সার্চ করেন তখন উপরে একটি সেটিং এখন দেখতে পান। তবে মোবাইল ভার্সনের সেটিং-এ কোনটি গুগল সার্চের নিচে অবস্থিত। আপনি ওই সেটিং থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী গুগল সার্চ ফিল্টার করতে পারেন।
ধরুন আপনি কপিরাইট কোন কনটেন্ট খুঁজতে চান তাহলে আপনি গুগলের সেটিং-এ গিয়ে ক্রিয়েটিভ কমন নামের অপশনটি সিলেক্ট করে সার্চ করলে আপনি যতগুলো রেজাল্ট পাবেন সবগুলো কপিরাইট ফ্রি থাকবে। এছাড়া আপনি যদি শুধুমাত্র স্পেসিফিক কোন একটি বিষয় নিয়ে সার্চ করতে চান তাহলে আপনি সেই বিষয় নিয়ে লেখার পরে যেই স্পেসিফিক বিষয়টি সার্চ করতে চান সেটা আগে + চিহ্ন দিয়ে সার্চ করুন। এতে করে গুগোল শুধুমাত্র আপনার ওই স্পেসিফিক বিষয় নিয়ে তথ্যগুলো করবে।
এছাড়া আপনি যদি কোন একটি আলাদা ভাষার কনটেন্ট গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজতে চান তাহলে আপনি সরাসরি সেটিং-এ গিয়ে সেই ভাষা টি সিলেক্ট করে সার্চ করলে গুগল শুধুমাত্র আপনার সেই স্পেসিফিক ভাষার কনটেন্ট দেখাবে।
গুগলের এই ফিল্টার অপশনটির আরেকটি বড় সুবিধা হল আপনি যদি আপনার সন্তানদের খারাপ ওয়েবসাইট থেকে দূরে রাখতে চান তাহলে আপনি গুগলের ব্রাউজার সেটিং এ গিয়ে ফিল্টার সার্চ অপশনটি চালু করে কোন কিছু সার্চ করলে গুগল আপনাকে কোন এডাল্ট কনটেন্ট দেখাবে না। এটা আমাদের বাসার শিশু-কিশোরদের জন্য খুবই জরুরী একটি বিষয়।
এসইও এক্সপার্টদের গুগল সার্চ এর নিয়ম
আমরা সাধারন মানুষেরা যেভাবে গুগলে সার্চ করি ঠিক তেমনি এক্সপার্টরা গুগলে সার্চ করে না। কারণ এসইও এক্সপার্টদের দরকার একটু এডভান্স লেভেলের কিওয়ার্ড। অ্যাডভান্স লেভেলের কিওয়ার্ড পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটু এডভান্সলি গুগলে সার্চ করতে হবে। এডভান্স সার্চ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই এসইও বিষয়ে সামান্য হলেও ধারণা থাকতে হবে।
আপনি গুগল এ গিয়ে কোন একটি স্পেসিফিক বিষয় নিয়ে এসইউ কনটেন্ট খোঁজার জন্য সেই সবচেয়ে বেশি সার্চকৃত কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ করুন। আপনি যে কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ করবেন সেই কিওয়ার্ডকে অনুসরণ করে গুগল আপনাকে আপনার কাঙ্খিত রেজাল্ট শো করাবে। যার ফলে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী এবং দরকার অনুযায়ী আর্টিকেল খুঁজে পাবেন। বর্তমানে ইন্টারনেটে অনেকগুলো টুলস পাওয়া যায় যেগুলোর মাধ্যমে সরাসরি আপনি কোন কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ করলে সেই টুলস আপনাকে কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই সেই কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিয়ম সো করাবে।
আরো দেখে আসতে পারেনঃ-
গুগলে যে বিষয়গুলো সার্চ করবেন না
গুগোল এ এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো সার্চ না করাই উত্তম। কারণ গুগলের সকল সার্চ গুগলের নিজস্ব ডাটাবেজে সেট করা থাকে। বিশেষ করে আপনি যদি ক্রিমিনাল কোন বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ করেন তাহলে গুগলের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট সেটাকে মারাত্মক ভেবে গুগলের একটা টিমের কাছে পাঠিয়ে দিবে। আর গুগলের এক্সপার্ট ইন আপনার সেই তথ্যটা কে যদি মারাত্মকভাবে তাহলে তারা সেই ব্যক্তির দেশের সরকারের কাছে তার সার্চ রেজাল্ট পাঠিয়ে দিবে। এতে করে আপনি ভবিষ্যতে অনেক বিপদে পড়তে পারেন।
যেমন আপনি যদি সার্চ করেন কিভাবে হাইড্রোক্লোরিক বোমা তৈরি করা যায়, হয়তো আপনি জানার জন্য সার্চ করছেন। কিন্তু আপনি এমনভাবে সার্চ করছেন যেটা গুগলের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মারাত্মক ভেবে নিয়েছে। এতে গুগলের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেই সার্চের তথ্য দেন সরাসরি আপনার দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পাঠিয়ে দিবে। তবে গুগলের সাথে সব দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সরাসরি যোগাযোগ নেই। তবে বিশ্বের বেশিরভাগ উন্নত দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথেই গুগলের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সরাসরি যোগাযোগ আছে। যার ফলে কোন তথ্য সার্চ করা হলে সেটা সরাসরি সেই দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ডাটাবেজে চলে যায়।
তাই অবশ্যই গুগলে কোন উল্টাপাল্টা কিছু সার্চ করতে যাবেন না।
গুগলে পার্সোনাল তথ্য যুক্ত করা
গুগলে সার্চ এর নিয়ম
আমরা অনেকেই গুগোল এর বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আমাদের নিজেদের পার্সোনাল তথ্য যেমন ব্যাঙ্ক ডিটেলস, জাতীয় পরিচয় পত্রের ডিটেলস ইত্যাদির মতো তথ্যগুলো সাবমিট করি। যদি আপনার সেই ওয়েবসাইট টি বিশ্বস্ত হয় তাহলে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু যদি আপনার সেই ওয়েবসাইট টি বিশ্বাস না হয় তাহলে কখনই আপনার নিজের পার্সোনাল ইনফরমেশন সেই ওয়েবসাইটকে দিবেন না। যদি সে সব ওয়েবসাইটের কন্ট্রোলার আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন দিয়ে কোন অবৈধ কাজ করে তাহলে ভবিষ্যতে আপনি অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
বন্ধুরা আশাকরি আপনাদের আজকের পোস্টটি অনেক কাজে আসবে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।