ন্যানো টেকনোলজি সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য|ন্যানো টেকনোলজি কাকে বলে , ন্যানো টেকনোলজি কি |ন্যানো টেকনোলজিকে এক কথায় বলা হয় ন্যানোটেক। নেনো টেকনোলজি বহুমাত্রিক, এর সীমানা প্রচলিত এবং অর্ধপরিবাহী পদার্থ থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক আণবিক স্বয়ং সংশ্লেষণ প্রযুক্তি পর্যন্ত বা আণবিক কাঠামোর নিরন্তর থেকে নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন টেকনোলজি উদ্ভাবন পর্যন্ত বিস্তৃত |
আজকাল হাটবাজারে চমৎকার যে সব উপকরণ ব্যবহার করে ক্ষুদ্র প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে সবই ন্যানোটেক নামে পরিচিত। কথা না বাড়িয়ে চলুন ন্যানো টেকনোলজি কাকে বলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
আরো দেখে আসতে পারেনঃ-
প্লে স্টোর অ্যাপস ডাউনলোড করার নিয়ম
ন্যানো কি?
ন্যানো হচ্ছে একটি মাপার একক | মূলত ন্যানো শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Nanos থেকে| এটি একটি অর্থবহ শব্দ যার আভিধানিক অর্থ হল Dwarft | কিন্তু এটি মাপার একক হিসেবে বর্তমানে অনেক ব্যবহৃত হচ্ছে।
ন্যানো টেকনোলজির সাহায্যে অনেক ছোট ছোট পদার্থকে খুব সহজেই বিশ্লেষণ করা যায় |এবং ন্যানো টেকনোলজি প্রয়োগ করে বিজ্ঞান ১০০ মিটারের চেয়েও ছোট কোন ক্ষুদ্র কণা নিয়ে কাজ করতে পারে।
ন্যানো টেকনোলজি জনক কে
ন্যানো টেকনোলজির জনক হল “রিচার্ড ফাইনম্যান “।
সর্বপ্রথম ১৯৫২ সালের ২৯ জানুয়ারি ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে অনুমোদিত আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটির এক সভায় ন্যানো টেকনোলজির বিষয়ের উপর ধারণা দেন
মূলত এই বক্তৃতা এই সর্বপ্রথম ন্যানো টেকনোলজির ধারণা দেয়।
ন্যানো টেকনোলজি কাকে বলে
ন্যানো টেকনোলজি একটি গ্রিক শব্দ| যার আক্ষরিক অর্থ হলো ক্ষুদ্র ছোট প্রযুক্তি| এটি ছোট ছোট পদার্থকে বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করে থাকে |এটি ১০০ মিটার এর চেয়েও ছোট কণা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে সক্ষম।
“বিজ্ঞানের যে শাখা ন্যানো স্কেলে অনু পরমাণু নিয়ে কাজ করে তাকে ন্যানোটেকনোলজি বলে”।
প্রযুক্তির শাখা যা 100 টির কম ন্যানো মিটারের মাত্রা এবং সহনশীলতা নিয়ে কাজ করে বিশেষত পৃথক পরমাণু এবং অনুগুলির ম্যানিপুলেশন।
ইঞ্জিনিয়ারিং এর শাখা যা একশ ন্যানোমিটারের চেয়ে ছোট জিনিসের সাথে কাজ করে( বিশেষত পৃথক অনুগুলির কারসাজির সাথে)
ন্যানো টেকনোলজি ক্ষেত্র কয়টি
ন্যানোটেকনোলজির ক্ষেত্র রিসার্চ করে জানা যায় এর ক্ষেত্র মূলত দুইটি।
- উপর থেকে নিচে( Top To Bottom)
- নিচ থেকে উপরে (Bottom To Top)
উপর থেকে নিচে (Top To Bottom)
Top To Bottom এর পরক্রিয়াটি সাধারণত Etching এর সাথে জড়িত |এটি মূলত কোন জিনিসকে কেটে বা ভেঙে কোন নির্দিষ্ট আকারে নিয়ে আসা হয়| বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স এর সাথে অতপ্রত ভাবে এটি জড়িত|
নিচ থেকে উপরে (Bottom To Top)
Bottom To Top হলো অনেকগুলো ছোট ছোট বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিস দিয়ে একটি পরিপূর্ণ রূপ দিয়ে কোন জিনিস তৈরি করা কে বুঝায়। বা কোন ছোট ছোট জিনিস দিয়ে বড় কিছু তৈরি করাকেই নিচ থেকে উপরে প্রক্রিয়া বুঝায়।
ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহার
Nanotechnology (ন্যানো প্রযুক্তি) সূত্র ব্যবহার করে আমরা আমাদের দেহের ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া প্রোটিন ইত্যাদির পাশাপাশি কোষকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
ন্যানো টেকনোলজি আমাদের জীবনে সবচাইতে বেশি পরিবর্তন এনে দিয়েছে .আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে করে তুলেছে সুন্দর সুখময়।
যেসব ক্ষেত্রে আমরা ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করে থাকি নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো। যেমন
- জমির সার তৈরি করা যা দিয়ে অধিক পরিমাণে ফসল উৎপাদন করা যায়।
- শিল্প কলকারখানা থেকে নির্গত ক্ষতিকারক ধোঁয়া যা বায়ু দূষণ হয় তা রোধ করার জন্য ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার করা হয়।
- যত প্রকার ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যেমন কম্পিউটার সার্কিট মোবাইল সার্কিট প্রসেসর গুলো তৈরি করা হয় যা সিলিকন
- ব্যবহার করা হয় সবই এই ন্যারোটেকনোলজির মাধ্যমে করা হয়।
- নতুন প্রযুক্তির বাল্ব গুলিতে ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করে খরচ কমানো যায় এবং যা অধিক আলোকসজ্জা ও দিয়ে থাকে।
- ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করে অধিক পরিমাণে উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় যা একটি দেশের জন্য খুবই লাভজনক।
আরো দেখে আসতে পারেনঃ-
ন্যানো টেকনোলজি কিভাবে আমাদের উপকারে আসে।
ন্যানো টেকনোলজি আমাদের জীবনের নানা উপকারে আসে |কতদিক থেকে যে ন্যানো টেকনোলজি উপকারে আসে তা বলে শেষ করা যাবে না |তাহলে চলুন যেন টেকনোলজি যেসব উপকারে আসে তা জেনে নেয়া যাক |
- কম্পিউটার ল্যাপটপ হার্ডওয়ার তৈরি করতে
- ন্যানো রোবট তৈরি
- মহাকাশ অভিযানে যেসব জিনিস ব্যবহার করা হয় সেসব ক্ষেত্রে
- জ্বালানি তৈরি করতে
- জমির সার তৈরি করতে যাতে অধিকারের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়
- ঔষধ তৈরির ক্ষেত্রে নখ রোগ নিরাময় করার জন্য
- শিল্প কল কারখানার ক্ষেত্রে
আজকের পোস্ট নিয়ে শেষ কথা।
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে কিছুটা হলেও আপনাদের উপকারে আসতে পেরেছি। ন্যানো টেকনোলজি কাকে বলে এই বিষয়ে উপরে যে সব ধারণা দেওয়া হয়েছে সবগুলোই বিভিন্ন ইনফরমেশন থেকে নেওয়া এর মধ্যে যদি ভুল হয়ে থাকে আশা করি ধরিয়ে দেবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আরো দেখে আসতে পারেনঃ-
৬৬
kisu jante can ?