জন্ম নিবন্ধন যাচাই ও অনলাইন কঁপি ডাউনলোড বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য জন্ম নিবন্ধন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আগে এই জন্ম নিবন্ধন হাতে লেখা থাকত এবং সেগুলো অনলাইন করা থাকত না, তবে বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন গুলো সব অনলাইন করা থাকে।
আর যাদের জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নাই, তাদেরকে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে হবে। তা না হলে ওই জন্ম নিবন্ধন দিয়ে সে কোন ধরনের নাগরিক সুবিধা পাবে না।
তাহলে চলুন দেখে আসি আপনার জন্ম নিবন্ধন কি অনলাইন আছে কিনা |
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার নিয়ম
জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে চেক করার নিয়ম
১. প্রথমে আপনারাই এই লিঙ্কে (https://everify.bdris.gov.bd/) চলে যান |
২. তারপরে প্রথম বক্সে আপনার ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি দিন। আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর যদি ১৭ সংখ্যার কম হয়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নাই। সেক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করে নিবেন।
৩. তারপরে আপনার জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী আপনার জন্ম তারিখটি সঠিকভাবে বসাবেন। জন্মতারিখ বসানোর ক্ষেত্রে প্রথমে সাল, তারপর মাস, তারপরে তারিখ বসাতে হবে (যেমন: ১৯৯৫-১২-১৩)।
৪. তারপরে উপরের ছবির মত আপনাকে যোগ/বিয়োগ/গুন/ভাগ যেটাই থাকুক সেটা সমাধান করে বক্সের মধ্যে বসাতে হবে। বক্সে বসানোর পর এ সার্চ অপশনে ক্লিক করলেই আপনার জন্ম নিবন্ধন এর সকল ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন।
আর যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন এর কোনো তথ্য না আসে তাহলে বুঝবেন আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নাই।
অনেক সময় জন্ম নিবন্ধন এর সকল কিছু সঠিক দিয়ে ও অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন এর তথ্য আসেনা। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার জন্ম নিবন্ধনের নম্বরটি সঠিকভাবে যাচাই করবেন। আপনার জন্ম নিবন্ধন এর নম্বর ১৬ সংখ্যার হয়, তাহলে জন্ম নিবন্ধন নম্বরের শেষের ৫ অক্ষরের পূর্বে একটি ০ যুক্ত করে তারপরে অনলাইনে চেক করতে পারবেন। এছাড়া আপনার জন্ম যদি ২০০০ সালের আগে হয় তা হলেও অনেক সময় জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে চেক করা যায় না।
জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন চেক
জন্ম নিবন্ধন করার পরে সেটি সঠিক হয়েছে কিনা তা যাচাই বা চেক করার প্রয়োজন হয়| জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই বা চেক করতে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়| যেসব নিয়ম অনুসরণ করে জন্ম নিবন্ধন চেক করতে হয় চলুন জেনে নেয়া যাক|
- প্রথমে ব্রাউজার সিলেক্ট করে নিন |
- সার্চ বাটনে গিয়ে (everify.bdris.gov.bd) লিখে সার্চ করুন|
- এখন আপনাদের সামনে জন্ম নিবন্ধন তথ্য একটি ওয়েবসাইট চলে আসবে|
- আপনার সিলেটে থাকা 17 ডিজিটের নাম্বারটি জন্মনিবন্ধনের খালি ঘরে দিন|
- শিল্পে থাকা জন্মতারিখ সঠিকভাবে খালি করে দিন|
- সব ঠিকঠাক থাকলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন|
- আপনার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি লিখুন (উদাহরণ- 19860915428117351)। Date of Birth এই বক্সে জন্ম তারিখ লিখুন এই ফরমেটে জন্ম নিবন্ধন চেক YYYY MM DD । এরপর নিচের ক্যাপচাটি পূরণ করুন। নিচের বাম পাশের Search বাটনে ক্লিক করুন।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড
উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি যখন জন্ম নিবন্ধনের তথ্য গুলো পেয়ে যাবেন, তখন আপনি সেটা প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, সেইপ রিঙ্কুকে ব্যবহার করতে হলে সেগুলো অবশ্যই কোনো প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে নিতে হবে। সত্যায়িত করা ছাড়া সেই কপি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না।
অনলাইনে আপনার তথ্যগুলো যখন আসবে তখন আপনি আপনার ব্রাউজারের পৃন্ট অপশনে ক্লিক করে, সেটা প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনার ব্রাউজারে যদি প্রিন্ট অপশন না থাকে সে ক্ষেত্রে CTRL+P একসাথে চেপে পিডিএফ আকারে সেভ করতে পারবেন। পরে সেটা প্রিন্ট করে, সত্যায়িত করে ব্যবহার করতে পারবেন |
নাম দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই
নিজের নাম দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার মতো সুযোগ বর্তমানে অনলাইনে নেই। তবে আপনি চাইলে আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদে বা যেখান থেকে আপনি জন্ম নিবন্ধন করেছেন সেখানে গিয়ে আপনার নাম দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন।
ইউনিয়ন পরিষদে এই কাজ করার জন্য কোন ধরনের ফি নিবেনা। যদি ইউনিয়ন পরিষদের কোন ব্যক্তি আপনার থেকে এই কাজটি করার জন্য কোন ধরনের টাকা নেয়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি আপনার নিকটস্থ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস বা থানায় অভিযোগ জানাবেন। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
জন্ম নিবন্ধনের তথ্য ভুল এন্ট্রি
আপনার জন্ম নিবন্ধন যদি সঠিকভাবে অনলাইনে এন্ট্রি করা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার জন্ম নিবন্ধন আপনি অনলাইনে পাবেন। আপনার তথ্য যদি ভুল থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি যে এই জায়গা থেকে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করেছেন, সেই জায়গা থেকে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করে নিতে পারবেন।
অনেক সময় একটি জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে দুইজনের তথ্য অনলাইনে পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে প্রথমজনের তথ্য অনলাইনে থাকবে, কিন্তু দ্বিতীয় জনের তথ্য ব্যবহার করা যাবে না। এই সমস্যাটা সাধারণত যমজ সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে বেশি হয়। তবে আপনি চাইলে এই সমস্যার সমাধান আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ বা কাউন্সিলের অফিসে গিয়ে করতে পারবেন।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে।