স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট কার্ড প্রতিটি নাগরিকের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি বস্তু। স্মার্ট কার্ড ছাড়া আপনি দেশের অনেক নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। আগে স্মার্ট কার্ড নাগরিকদের দিত না, কিন্তু বর্তমানে যারা নতুন আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন তারা সবাই স্মার্ট কার্ড পাবেন।আপনি চাইলে অনলাইনে অথবা সরাসরি আপনার নিকটস্থ নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।
অথবা বর্তমানে যেহেতু জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, তাই সরাসরি আপনার ইউনিয়ন পরিষদে অথবা কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে আপনার তথ্য জমা দিয়ে স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনি যদি এখন স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনার খুব বেশি একটা কাগজের প্রয়োজন হবে না। আপনি যদি অন্য সময়ে স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনার অনেকগুলো কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।
আরো দেখে আসতে পারেনঃ-
ভোটার লিস্ট বের করার নিয়ম |
নতুন স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন
আপনি অনলাইনে এই ওয়েবসাইট অথবাসরাসরি নির্বাচন কমিশন অফিসের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।
১. অনলাইনের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন
অনলাইনের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করতে আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্রের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রথমে তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।সঠিক ভাবে আপনার তথ্যগুলো দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার পরে আপনি নতুন জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন অপশনে ক্লিক করুন।
নতুন জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন এ ক্লিক করার পরে আপনার নাম, বাবার নাম, মাতার নাম, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা সহ বিভিন্ন তথ্য আপনার জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী সঠিকভাবে পূরণ করবেন। আর আরেকটি কথা আপনার জন্ম নিবন্ধন দিয়ে অবশ্যই অনলাইন করে নিবেন। জন্ম নিবন্ধন যদি অনলাইন থাকে তাহলে কিছু করতে হবে না।
তথ্য গুলো সঠিকভাবে পূরণ করার পরে আপনার থেকে কিছু কাগজপত্র স্ক্যান কপি চাইবে। সে কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপনি অনলাইনে সঠিকভাবে আপলোড করুন। তারপরে আপনাকে আবেদন ফি প্রদান করতে বলবে। আপনি চাইলে সরাসরি আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদে অথবা কাউন্সিলের অফিসে গিয়ে আবেদন ফি জমা দিতে পারবেন অথবা আপনি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বা ব্যাংক চালানের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে পারেন।
আবেদন ফি প্রদান করার পরে আপনার আবেদনটি আপনার নিকটস্থ নির্বাচন কমিশন অফিসের সার্ভারে চলে যাবে। তারা আপনার আবেদন সঠিকভাবে ভেরিফাই করার পরে আপনাকে ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে ডাকবে। আপনাকে মেসেজের মাধ্যমে একটি তারিখ দেওয়া হবে সেই তারিখে গিয়ে তাদের সাথে দেখা করে আসবেন।
সেখানে যাওয়ার সময় অবশ্যই আপনি অনলাইনে আবেদনের ফরম এর প্রিন্ট কপি এবং অন্যান্য কাগজপত্র গুলো ফটোকপিসহ নিয়ে যাবেন। কাগজপত্রগুলো চেষ্টা করবেন সত্যায়িত করে নিয়ে যাওয়ার এতে করে তারা কোনো ঝামেলায় ফেলবে না। আপনি চাইলে যেকোন ফার্স্ট ক্লাশ অফিসার দ্বারা কাগজপত্রগুলো ভেরিফাই করে নিতে পারেন।
২. নির্বাচন কমিশন অফিসের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন
আপনার যদি অনলাইনের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড তৈরি জামেলার মনে হয় তাহলে আপনি সরাসরি আপনার নিকটস্থ নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করতে গেলে আপনাকে তারা একটি ফর্ম দিয়েছেন ফর্ম টি সঠিক ভাবে আপনার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী পূরণ করবেন। স্মার্ট কার্ড এর আবেদন করার আগে অবশ্যই আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করে নিবেন।
এছাড়া আপনার মা বাবার আইডি কার্ডের ফটোকপি, বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি, আপনার যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে তাহলে সেগুলো ফটোকপি ইত্যাদি সত্যায়িত করে সরাসরি নির্বাচন কমিশন অফিসে নিয়ে যাবেন।
অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করলে সেটা অনেক দেরি হয়, তাই চেষ্টা করবেন সরাসরি নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করতে। এতে করে আপনি তাড়াতাড়ি আপনার স্মার্ট কার্ড হাতে পেয়ে যাবেন। তবে নির্বাচন কমিশন অফিসে সরাসরি গিয়ে স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করলে আপনার খরচ বেশি লাগতে পারে।
আরো দেখে আসতে পারেনঃ-
জন্ম নিবন্ধন যাচাই ও অনলাইন কঁপি ডাউনলোড |
স্মার্ট কার্ডের কত খরচ লাগে
সাধারণত আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ডের আবেদন করেন তাহলে আপনার কোন ধরনের খরচ লাগবে না। তবে আপনি যদি নির্বাচন কমিশন অফিসের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ডের আবেদন করেন তাহলে বিভিন্ন কাগজপত্রের জন্য আপনার খরচ লাগতে পারে।অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করলে আপনাকে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো কম্পিউটার দোকানের মাধ্যমে স্ক্যান করে নিতে হবে। তারপর সেই ক্যান কপিগুলো অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্রের ওয়েবসাইটে সরাসরি আপলোড করতে হবে।
তারপরে তারা আপনার তথ্যগুলো ভেরিফাই করে আপনার স্মার্ট কার্ড প্রসেস করবে। সকল প্রসেস শেষ হলে আপনার স্মার্ট কার্ডে আপনার হাতে চলে আসবে।
আরো দেখে আসতে পারেনঃ-
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার নিয়ম
স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে প্রিন্ট কপি ডাউনলোড করে সেটা সকল কাজে ব্যবহার করতে পারেন। কারণ অনলাইনের প্রিন্ট কপি নির্বাচন কমিশন অফিস দাঁড়া ভেরিফাই করা।
অনলাইনের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
অনলাইনের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে প্রথমে নির্বাচন কমিশন অফিসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ইউজারনেম অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। আপনার যদি একাউন্ট না থাকে তাহলে প্রথমে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
তারপরে আপনি নিচে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড অপশন থেকে ডাউনলোড এ ক্লিক করলে আপনি একটি প্রিন্ট কপি পেয়ে যাবেন সেটা প্রিন্ট করে সকল কাজে আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
বন্ধুরা আশা করি আজকের পোস্ট এর মাধ্যমে আপনারা জাতীয় পরিচয় পত্রের অনেক প্রশ্নের জবাব পেয়েছেন। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আরো দেখে আসতে পারেনঃ-