Skip to content

নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম

আপনি কি নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? আপনি যদি অনলাইনে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হবে। নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত এই লেখাটিতে আলোচনা করা হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রায় ৯৬% মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ আছে। আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহার করি, বিদ্যুৎ ছাড়া এক প্রকার অচল বলা চলে। যাদের ঘরে এখনো বিদ্যুৎ নেই তারা চাইলে অনলাইনে নুতন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারেন।

বিশেষ করে পল্লী বিদ্যুৎ যারা ব্যবহার করছেন তাদের ক্ষেত্রে বর্তমানে মিটার পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়। এবং গ্রাম অঞ্চলে যে সকল জায়গায় এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি তারা অনলাইনে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এই লেখাটির মাধ্যমে।

নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন

ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার জন্য rebpbs এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম পূরণ করব। এবং পরবর্তীতে ওই ফরম অনলাইনের মাধ্যমে জমা করে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আবেদন ফি পরিশোধ করব।

নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে কিছু শর্তাবলী মানতে হবে এবং আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্টস সংগ্রহ করে নিতে হবে। ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করে পরবর্তীতে rebpbs ওয়েবসাইট থেকে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করব।

নতুন মিটার পাওয়ার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

অনলাইনে নতুন মিটার পাওয়ার জন্য আবেদন করার আগে অবশ্যই নিচে বর্ণিত ডকুমেন্টস গুলো সংগ্রহ করে নিবেন। ডকুমেন্টসগুলো হলঃ

  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র।
  • আবেদনকারীর নাম ও মোবাইল নাম্বার।
  • আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানা।
  • বিদ্যুৎ সংযোগস্থলের ঠিকানা।
  • ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি।
  • বিদ্যুৎ সংযোগস্থলের জমির মালিকানা সম্পর্কিত তথ্য দাগ নাম্বার ও খতিয়ান নাম্বার।
  • পার্শ্ববতী বিদ্যুতিক পুল থেকে ফিট হিসেবে সংযোগস্থলে ঠিকানার সঠিক মাপ।
  • উক্ত বৈদ্যুতিক পুল ব্যবহার করে এমন নিকটস্থ কোন গ্রাহকের বই নাম্বার এবং হিসাব নং।
  • সংযোগস্থলে ব্যবহৃত লোডের সংখ্যা (লোড বলতে বুঝানো হয়েছে টিভি, ফ্রিজ, বৈদ্যুতিক পাংখা, বৈদ্যুতিক লাইট, এসি, রাইস কুকার ইত্যাদি)
  •  সংযোগস্থলে জমির মালিকানা অন্য কেউ হলে সেক্ষেত্রে উত্তরাধিকার সনদপত্র স্ক্যান করে ফরমের সাথে আপলোড করতে হবে।
  • হাউজ ওয়ারিং নিশ্চিত করার জন্য পূর্বে গ্রান্ড মেমোর ছবি স্ক্যান কপি সংগ্রহ করে রাখতে হবে।

নতুন মিটারের জন্য আবেদন করার শর্তাবলী

নতুন মিটারের জন্য  আবেদন করার আগে অবশ্যই এই বিষয়গুলো জেনে নেওয়া উচিত।

  • অনলাইনে আবেদন করার জন্য অবশ্যই আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র ছবি এবং তার নিজের ছবি ও সংযোগ স্থানের খারিজের স্ক্যান কপি গুলো আপলোড করতে হবে।
  • সংযোগস্থল হতে বৈদ্যুতিক ফুল তথা সার্ভিস ড্রপের দূরত্ব ১৩০ ফুটের মধ্যে হবে।
  • সঠিকভাবে বৈদ্যুতিক পুল থেকে সংযোগস্থল এর দূরত্ব মাপতে হবে। ভুল হলে পরবর্তীতে বিরম্বনার শিকার হতে পারেন।
  • সংযোগস্থলের মোট লোড ৮০ কিলোওয়াট এর বেশি হলে HT সংযোগ এর জন্য আবেদন করতে হবে।
  • অনলাইনে আবেদন করার পরে – মেম্বারশিপ ফি, আবেদন ফি ও নিরাপত্তা জামানত উদানের তারিখ এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে।
  • নূতন মিটারের জন্য আবেদন করার আগে অবশ্যই এই শর্তাবলী গুলো সম্পর্কে জানতে হবে এবং আবেদনের সময় সকল তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।

নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম

নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে সর্বপ্রথম http://www.rebpbs.com/ এই ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে |এবং পরবর্তীতে আবেদন ফ্রি প্রদান করে অনলাইনে ফরমটি জমা দিতে হবে। নতুন মিটারের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া নিচে ধাপ অনুসারে দেখানো হলো।

প্রথম ধাপঃ আবেদন ফরম পূরণ

সর্বপ্রথম rebpbs এখানে ক্লিক করে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করার ফর্মে প্রবেশ করতে হবে। এরপরে যথাক্রমে সকল তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে। নতুন মিটার পাওয়ার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম উক্ত লিংকে ক্লিক করার পরে নিচের ছবির মত একটা ফর্মে নিয়ে আসবে। এখান থেকে যথাক্রমে সঠিকভাবে ফরমটি পূরণ করতে হবে।

নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম

এবং তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে লাল (*) চিহ্নিত করা অপশনগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে। উক্ত ফর্মে প্রবেশ করে যথাক্রমেঃ

  • বিদ্যুৎ অফিসের বিবরণ ও সংযোগ।
  • আবেদনকারীর বিবরণ ।
  • স্থায়ী ঠিকানা ও প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগ স্থানের ঠিকানা।
  • জিওগ্রাফিক তথ্য ও কানেকশন এর বিবরণ।
  • লোড ও  চাহিদাকৃত লোড।
  • বাংলায় প্রতিষ্ঠানের/ বাড়ির লোকেশন ও মন্তব্য।
  • ছবি,  জাতীয় পরিচয় পত্র ও খারিজের স্ক্যান কপি আপলোড।
  • লাল কালারের লেখা শর্তাবলী গুলো পড়ে একমত হলে টিক চিহ্ন দিবেন।
  • প্রদত্ত সংখ্যা ফাঁকা ঘরে লিখে নিচের ক্যাপচাটি সঠিকভাবে পূরণ করুন (সংখ্যাগুলো ইংরেজিতে লিখবেন)
  • উপরের তথ্যগুলো পুনরায় মিলিয়ে নিয়ে “সংরক্ষণ করুন” বাটনে ট্যাপ করুন।

এরপরে ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে অথবা পিডিএফ স্লিপ হিসেবে একটি পিন নাম্বার ও ট্রাকিং আইডি নাম্বার প্রদান করবে। অবশ্যই এগুলো যথাযথ স্থানে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয়।

দ্বিতীয় ধাপঃহাউজ ওয়্যারিং এর জন্য আবেদন ও নিশ্চিতকরণ

নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম

হাউজ ওয়ারিং নিশ্চিত করার জন্য http://www.rebpbs.com/ এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সর্বপ্রথম “আবেদন” মেনু থেকে “হাউজ ওয়ারিং নিশ্চিত করুন” মেনুটি সিলেক্ট করবেন। সংযোগস্থলের হাউজ ওয়ারিং নিশ্চিত করার জন্য এটি করতে হবে।

নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম

হাউজ ওয়ারিং নিশ্চিত করুন মেনুতে প্রবেশ করার পরে উপরের ছবির মত একটি পেজ দেখতে পাবেন এখান থেকে প্রথমে ট্রাকিং নাম্বার এবং পরবর্তীতে পিন নাম্বার বসিয়ে দিয়ে “সাবমিট করুন” বাটনে ট্যাপ করুন। পিন নাম্বার এবং ট্রাকিং নাম্বার আবেদনের পরে আবেদন স্লিপে অথবা মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এরপরে গ্রান্ড রডের ক্যাশ মেমো আপলোড করে যথাক্রমে সংযোগস্থল তথা বাড়ির ঠিকানা বসিয়ে দিয়ে ভেরিফিকেশন ক্যাপচাটি পূরণ করে “সমর্পণ করুন” বাটনে ট্যাপ করুন। কিছুক্ষণ পরে এসএমএস এর মাধ্যমে সঠিকভাবে হাউজ ওয়্যারিং এর জন্য আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে দেওয়া হবে।

তৃতীয় ধাপঃসংযোগ ফি পরিশোধ

নতুন মিটারের জন্য আবেদন করার পরে এবং হাউজ ওয়ারিং নিশ্চিত করার পরে সংযোগ ফি পরিশোধ করতে হবে। সাধারণত ২ ভাবে সংযোগ ফি পরিশোধ করা যাবেঃ ১- অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং রকেটের মাধ্যমে। ২- সরাসরি বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে নগদ টাকা জমা দিয়ে।

নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম

উপরের ছবিতে দেখানো পদ্ধতি অনুযায়ী মোবাইল ব্যাংকিং রকেট এর মাধ্যমে সংযোগ ফি পরিশোধ করতে পারবেন অথবা http://www.rebpbs.com/Default.aspx এখানে ক্লিক করে রকেট এর মাধ্যমে সংযোগ ফি পরিশোধ করার পদ্ধতি দেখে নিন।

এছাড়াও সরাসরি বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে নগদ টাকা প্রদান করতে পারবেন এক্ষেত্রে পিন নাম্বার এবং ট্রাকিং নাম্বার প্রয়োজন হবে। উপরে নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি কত টাকা

আবেদন সম্পন্ন হলে আবেদন পত্রটি নিয়ে আপনার এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে আবেদন পত্রটি জমা দিতে হবে| এ সময় আবেদনপত্র জমা দেয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে ১১৫ টাকা চার্জ বাবদ জমা দিতে হবে|

এবং আপনাকে মিটার পাওয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি প্রদান করতে হবে| এর পরিমাণ হলো ৪৫০ টাকা| অর্থাৎ আপনাকে আবেদনপত্র জমা দেয়ার জন্য ১১৫ টাকা এবং মিঃ পাওয়ার জন্য ৪৫০ টাকা জমা দিতে হবে|

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *