আপনারা যারা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট| অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা খুবই সহজ একটি কাজ| এবং এই কাজটি আপনি ঘরে বসেই মোবাইল বা কম্পিউটার এর মাধ্যমে একা একা করতে পারবেন|
আয়কর দেওয়ার প্রতিটি দেশের নাগরিকের দায়িত্ব। প্রতিটি দেশের নাগরিকের আয়করের মাধ্যমে ওই দেশের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন সংঘটিত হয়। এছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে আয়কর দেওয়া বাধ্যতামূলক হয়। বাংলাদেশের ন্যূনতম আয় যদি আপনার আয়কর দেওয়ার মতো সামর্থ্য হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আয়কর করতে হবে।
আপনার ইনকাম যদি আয়কর যোগ্য হওয়ার পরেও আপনি আয়কর না দেন সে ক্ষেত্রে রাজস্ব বোর্ড আপনার সম্পত্তিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করার ক্ষমতা রাখে।
আয়কর রিটার্ন কি
আয়কর রিটার্ন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নির্দিষ্ট একটি কাঠামোবদ্ধ ফর্ম যার মধ্যে করদাতা তার সম্পদ ও দায় এবং আয়-ব্যয়ের তথ্য লিখে অফিসে দাখিল করেন|
অনেকেই আয়কর পরিশোধ করা এবং আয়কর রিটার্ন দাখিল করাকে একই মনে করেন। কিন্তু এই দুইটার মধ্যে একটু পার্থক্য রয়েছে। আয়কর রিটার্ন দাখিল হচ্ছে প্রতিবছর সরকারকে আপনার সম্পত্তি এবং ইনকাম সম্পর্কে জানানো।
আর আয়কর পরিশোধ করা হচ্ছে আপনার যদি করযোগ্য ইনকাম এবং সম্পত্তি থাকে তাহলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্যাক্স সরকারকে প্রদান করতে হবে। আয়কর সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। একজন ব্যক্তির মোট সম্পত্তি যদি ৪০ লক্ষ টাকার নিচে থাকে সেক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি একটি পেজে জিরো রিটার্ন দাখিল করতে পারে।
অন্যদিকে একজন ব্যক্তির মোট সম্পত্তি যদি ৪০ লক্ষ টাকার উপরে থাকে এবং তার বাৎসরিক ইনকাম যদি তিন লক্ষ টাকার উপরে হয়, সেক্ষেত্রে তাকে ১০% হারে আয়কর প্রদান করতে হবে। তাই বলা যাচ্ছে যে আয়কর সবার জন্য প্রযোজ্য নয়।
আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম
সাধারণত আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে আয়কর রিটার্নের ফরম পূরণ করতে পারবেন। তবে আপনাকে সশরীরে উপজেলা আয়কর অফিসে গিয়ে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। আয়কর রিটার্ন দাখিলের পরে আপনাকে একটি সার্টিফাইড কপি দেওয়া হবে যে কপির মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন জায়গায় ৫% টেক্স ছাড় পাবেন।
আয়কর রিটার্ন এর ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনি যে ট্যাক্স প্রদান করেন সেটার একটি কপি নিয়ে যেতে হবে। সেই কপি নিয়ে যাওয়ার পরে ট্যাক্সড অফিসে বা আইকন অফিসে গেলে আপনাকে একটি ফরম পূরণ করতে বলবে। আপনার যদি আয়কর যোগ্য ইনকাম না থাকে সেক্ষেত্রে জিরো রিটার্ন দাখিল করবেন।
আর যদি আপনার আয়কর যোগ্য ইনকাম থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আয়কর প্রদান করতে হবে। আয়কর যোগ্য ইনকাম না থাকলে পরপর তিন বছর জিরো রিটার্ন প্রদান করার পরে পরবর্তীতে আর রিটার্ন দিতে হবে না।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম
আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রথমে https://etaxnbr.gov.bd/#/auth/sign-up এই লিংকে ভিজিট করতে হবে| এবং এখানে আপনার পিন নাম্বার এবং একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে ক্যাপচা পুরন করে ভেরিফাই করতে হবে| এবং যাবতীয় ইনফরমেশন দিয়ে সাবমিট করলেই আপনার আয়কর রিটার্ন দাখিল হয়ে যাবে|
আপনারা চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমে আয়করের জিরো রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। তবে যাদের আয়কর দেওয়া লাগবে তারা সরাসরি উপজেলা রাজস্ব বোর্ডের অফিসে গিয়ে আয় করতে হবে। আর যাদের জিরো রিটার্ন দাখিল করতে হয় তারা অনলাইনের মাধ্যমে জিরো রিটার্ন করতে পারবে। তাহলে চলুন আমরা দেখে আসি কিভাবে অনলাইনে মাধ্যমে জিরো রিটার্ন দাখিল করতে হয়।
১. প্রথমে আয়কর রিটার্ন ওয়েবসাইটে (https://etaxnbr.gov.bd/#/auth/sign-up) চলে। যান।
২. সেখানে যাওয়ার পরে আপনার টিন নাম্বার এবং একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে নিচের ক্যাপচা পূরণ করে ভেরিফাই করে নিন।
৩. এখন আপনি যে মোবাইল নম্বর দিয়েছেন সে মোবাইল নম্বরে একটি otp কোড যাবে। সেই কোডটি উপরের বক্সে বসান এবং নিচে একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করুন।
৪. এখন আপনার তিন নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। লগইন করার পরে রিটার্ন সাবমিশন অপশনটিতে ক্লিক করুন।
৫. এখন আপনি যেহেতু জিরো রিটার্ন জমা দিবেন তাই নিজের ছবির মত করে অপশন গুলো সিলেক্ট করুন। যদি আপনার করমুক্ত আয় থাকে তাহলেই ওর নিজের অপশন গুলো সিলেক্ট করবেন। এই অংশে মূলত আপনার ইনকাম টি কোন অংশ থেকে আসে এবং আপনি কি চাকরি করেন কিনা এই ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। আপনি যদি না বুঝে থাকেন তাহলে ছবির মত অংশগুলো সিলেক্ট করতে পারেন।
(ইমেজ 5)
৬. ফরম পূরণের এই অংশে আপনার ইনকাম কোথা থেকে আসে, আপনার ইনকাম সোর্স কি, আপনার কর যোগ্য আয় আছে কিনা, এই ধরনের ইনফরমেশন গুলো পূরণ করতে হবে। আপনি যদি না বুঝেন তাহলে নিজের ছবির মত অংশগুলো সিলেক্ট করে দিন।
৭. এখন আপনি যে ইনকাম সোর্স দিয়েছেন সেই ইনকাম সোর্স টি কোন জায়গা থেকে আসে সেই জায়গাটা সিলেক্ট করে দিতে হবে। মানে হচ্ছে আপনার ইনকাম টা কি ফ্রিল্যান্সিং থেকে আসে, নাকি ব্যবসা থেকে আসে। যেহেতু আপনি জিরো রিটার্ন দাখিল করবেন তাই অবশ্যই এমন একটি করমুক্ত ইনকাম সোর্স দিবেন যেটা আপনার সাথে সম্পর্কযুক্ত।
৮. এই অংশটি সবার ক্ষেত্রে নাও চাইতে পারে। যেহেতু আমি ব্যবসা সিলেট করেছি তাই আমার থেকে ব্যবসার ধরন, ব্যবসাটি কোথায় এবং কিভাবে করেন সেই ধরনের ইনফরমেশন চেয়েছে। আপনি যদি অন্য কোন ইনকাম সোর্স সিলেক্ট করেন তাহলে আপনার থেকে অন্য ইনফরমেশন চাইতে পারে, সেটি সঠিকভাবে পূরণ করবেন।
৯. এবার আমরা আসল অংশে চলে এসেছি। এখানে আপনার বার্ষিক ইনকাম কত, আপনি প্রতিবছর কত টাকা ট্যাক্স দেন এই ধরনের ইনফরমেশন পূরণ করতে হবে। এখন অনেকে বলবেন আমি তো ট্যাক্স দেই না তাহলে আমি কিভাবে পূরণ করব। আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর মধ্যে বাৎসরিক একটি ট্যাক্স কেটে নেওয়া হয় সেটি ব্যাংক থেকে আগে নিয়ে আসবেন এনে তারপরে এটা পূরণ করুন। এখানে কোন ধরনের ভুল করা যাবে না।
১০. এবার এই অংশে আপনার বর্তমান ইনকাম সোর্স কি, সেটা সিলেট করতে হবে। যেহেতু আমার বর্তমান ইনকাম সোর্স হলো সঞ্চয়পত্র তাই আমি সঞ্চয়পত্র সিলেক্ট করেছি। তারপরে সঞ্চয়পত্র থেকে আপনার ইনকাম এবং সংসদপত্র থেকে কে কে নেওয়ার ট্যাক্স কত সেটা পূরণ করতে হবে। এছাড়া এই অংশে আপনার মোট সম্পত্তি বা সম্পদ উল্লেখ করতে হবে। সেটা জমি হতে পারে বা অন্যান্য বিষয় হতে পারে (যেমন স্বর্ণ)। মনে রাখবেন সকল ইনফরমেশন অবশ্যই সঠিক দিবেন।
১১. তার পরবর্তী অংশে আপনার মোট ইনকাম এবং বার্ষিক আয় এবং ব্যয় দেখাবে। যদি আপনি করমুক্ত হন তাহলে জিরো রিটার্ন অপশনটি অটোমেটিক চলে আসবে। আর যদি আপনাকে কর দেওয়া লাগে সেক্ষেত্রে জিরো রিটার্ন অপশনটি আসবে না। তাই আগের অপশন গুলো পূরণ করার সময় অবশ্যই সবকিছু ভালোভাবে খেয়াল করে পূরণ করবেন। সবকিছু পূরণ করা শেষ হলে আপনার একটি সিগনেচার দিয়ে সাবমিট অপশনটি ক্লিক করুন।
অভিজ্ঞ হওয়া ছাড়া আয়কর রিটার্নের ফরম পূরণ করতে যাবেন না।
কাদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে
বাংলাদেশের নাগরিক এবং যাদের ই-টিন সার্টিফিকেট রয়েছে, সবাইকেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। আয়কর রিটার্ন দাখিল এর ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে দিয়ে ফরম পূরণ করাবেন। সেখানে কোন ধরনের ভুল করতে পারবেন না। কারণ সেখানে যদি কোন ধরনের ভুল ইনফরমেশন প্রদান করেন সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে আপনি বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার সম্মুখীন হবেন।
আমি আগেই বলেছি আয়কর রিটার্ন দাখিল করা মানে আয়কর প্রদান করা নয়। তাই যাদের ই-টিন সার্টিফিকেট হয়েছে তারা সবাই অবশ্যই আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন। তা না হলে রাজস্ব বোর্ড আপনাকে একটি নোটিশ পাঠাবে।
কর এবং রিটার্ন হিসাবের খাত
যে সব বিষয়ে আয়কর এবং রিটার্ন দিতে হয়
- কোন চাকরি থেকে পাওয়া বেতনাদি।
- নিরাপত্তা জামানতের উপর সুদ।
- কৃষি ক্ষেত্রে বা কৃষি কাজের উপর আয়।
- ব্যবসা থেকে আয়।
- অন্য কোন পেশার আয়।
- নির্দিষ্ট মূলধন থেকে প্রাপ্ত মুনাফা।
- গৃহ সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত আয়।
- মূলধনী মুনাফা।
- অন্য যেকোনো উৎস থেকে আয় পাওয়া।
উপরের ক্ষেত্রগুলো থেকে যদি আপনার আয়কর যোগ্য ইনকাম হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই আয়কর দিতে হবে। তা না হলে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
আয়কর ও রিটার্ন দাখিল এর জন্য ন্যূনতম আয়
বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের বার্ষিক আয় যদি তিন লক্ষ টাকার উপরে হয় তাহলে তাকে আয়কর প্রদান করতে হবে। এছাড়া কোন ব্যক্তির মোট সম্পত্তি যদি 40 লক্ষ টাকার উপরে থাকে সেক্ষেত্রে তাকে আয়কর প্রদান করতে হবে। তবে মহিলা এবং ৬৫ বছর ঊর্ধ্বে বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার উপরে বার্ষিক আয় থাকলে আয়কর দিতে হবে। এছাড়া প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বার্ষিক সাড়ে চার লক্ষ টাকার উপরে আয় থাকলে সে ক্ষেত্রে আয়কর হবে।
কোন ব্যক্তির যদি বার্ষিক আয়তিন লক্ষ টাকার নিচে এবং মোট সম্পত্তির পরিমাণ যদি ৪০ লক্ষ টাকার নিচে হয় সেক্ষেত্রে তাকে জিরো রিটার্ন দাখিল করতে হবে। পরপর তিন বছর জিরো রিটার্ন দাখিল করার পরে আর রিটার্ন দাখিল করতে হয় না।
আয় অনুযায়ী করের হার
একটি দেশের কোন ব্যক্তি যদি কর যজ্ঞ আয় থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই আয়কর প্রদান করতে হয়। কিন্তু আয়কর কত টাকা প্রদান করতে হয় সেটা অনেকেই জানেনা, তাহলে চলুন জেনে আসি।
- প্রথম তিন লক্ষ টাকার পর্যন্ত আয়কর শূন্য।
- পরবর্তী এক লক্ষ টাকা আয়ের জন্য ৫%।
- পরবর্তী ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের জন্য ১০%।
- পরবর্তী চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের জন্য ১৫%।
- পরবর্তী পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের জন্য ২০%।
- এর পরবর্তী সকল আয়ের জন্য ২৫%।
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়
বাংলাদেশের সকল নাগরিককেই কর দিবসের মাঝে আয় করার প্রদান করতে হয়। ঠিক ওই সময়ে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। বাংলাদেশে ৩০ নভেম্বর কর দিবস পালন করা হয়। ৩০ নভেম্বর এর আগেই আপনাকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিল এর সময় বৃদ্ধি করা হয়। তাই অবশ্যই আপনারা রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট অথবা বাংলাদেশের ট্যাক্স এর ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন।
কারণ বর্তমানে সকল নোটিশ এবং সরকারি সকল নোটিশগুলো ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। যদি আপনি উক্ত সময়ের মধ্যে আয়কর প্রদান করতে না পারেন বা রিটার্ন দাখিল করতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনি উপকর কমিশনারের কাছে একটি নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে আবেদন করবেন। এতে করে উপকর কমিশনার আপনার আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বৃদ্ধি করবে।
আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- করদাতার বেতন বিবরণী।
- যদি কোথাও থেকে টাকার উপর সুদ আসে সে ক্ষেত্রে সেটার প্রমাণপত্র।
- নিজের সম্পত্তির বিবরণী।
- জাতীয় পরিচয় পত্র।
- ই-টিন সার্টিফিকেট।
- পৌর বা সিটি কর্পোরেশনের কর রাজস্ব প্রদানের রশিদ।
- ব্যবসা থাকলে তার বিবরণী।
- করাতার স্থায়ী সম্পত্তির কেনা বেচা থাকলে তার বিবরণী।
- মূলধনের সুদের অংশে যদি আয়কর প্রদান করা হয় তাহলে তার প্রমাণ পত্র।
- ব্যাংকে যদি টাকা ইনভেস্ট করা থাকে এবং সেটা থেকে যদি সুদ আসে তাহলে ব্যাংকের স্টেটমেন্ট।
এছাড়া আপনার ইনকাম এবং অবস্থান অনুযায়ী বিভিন্ন কাগজপত্র লাগতে পারে। সেটা আরো ভালোভাবে জানতে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ আয়কর অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন। কাগজপত্র অবশ্যই আপনার ইনকাম এবং আপনার আয়ের উৎস অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
সর্বশেষ, আয়কর প্রদানের এবং দাখিলের ক্ষেত্রে অবশ্যই অভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে ফরম পূরণ করাবেন। কারণ আপনি যদি ফরম পূরণ করার সময় কোন সম্পত্তি বা আয় সম্পর্কে গোপন রাখেন সে ক্ষেত্রে পরবর্তীতে আপনার ওই সম্পত্তি এবং আয়ের উপরে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার সৃষ্টি হতে পারে। তাই অবশ্যই আয়কর রিটার্ন এর ক্ষেত্রে কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তি অথবা উকিলের পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
আজকের পোস্ট নিয়ে শেষ কথা
বন্ধুরা আশা করি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা আয়কর সম্পর্কে অনেক কিছু ধারণা পেয়েছেন। আয়কর বিষয়ে যদি কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে এবং আয়কর রিটার্ন নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকে সেক্ষেত্রে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।