পুরনো জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম যারা আগে জন্ম নিবন্ধন করেছেন তাদের অনেকেরই জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নেই। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার সকল জন্ম নিবন্ধন অনলাইন বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে। যার ফলে প্রতিটি জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা বাধ্যতামূলক।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার ছাড়া আপনি সেই জন্য নিমন্ত্রণ ব্যবহার করতে পারবেন না। আপনি যেকোন কাজে গেলে আপনার থেকে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন চাওয়া হবে। আপনার জন্ম নিবন্ধনে যদি 16 সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার থাকে তাহলে আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নেই। অনলাইন করা জন্ম নিবন্ধনে 17 সংখ্যার নম্বর থাকে।
তবে আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা আছে কিনা সেটা আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে অনলাইনে মাধ্যমে খুব সহজেই জানতে পারবেন।
আরো দেখে আসতে পারেনঃ
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি ২০২২
পুরনো জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম
১. ইউনিয়ন পরিষদ বা কাউন্সিলর অফিসে: আপনি চাইলে আপনার পুরনো জন্ম নিবন্ধনটি ইউনিয়ন পরিষদ বা কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে অনলাইন করে নিতে পারবেন। ইউনিয়ন পরিষদে বা কাউন্সিলের অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আপনার জন্ম নিবন্ধনটি দেখালে তারা সরকারি কিছু ফি নিয়ে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করে দিবে।
ইউনিয়ন পরিষদ বা কাউন্সিলর অফিস জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করলে আপনার জন্ম নিবন্ধনটি তাড়াতাড়ি পাবেন। তাই সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদ বা কাউন্সিলের অফিসে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার পরামর্শ থাকবে।
২. অনলাইনের মাধ্যমে: আপনার পুরনো জন্ম নিবন্ধনটি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমেও ডিজিটাল করে নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের ক্লিক করে আপনার পুরনো জন্ম নিবন্ধনটি অনলাইন করে নিতে পারবেন।
অনেকে মনে করছেন আমরা তো নতুন জন্ম নিবন্ধন করবো না, পুরনো জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করব। তাদেরকে বলে রাখি আপনার ওই পুরনো জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্যই নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন এ ক্লিক করতে হবে। তাছাড়া আপনি পুরনো জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে পারবেন না। আপনাকে পুরনো জন্ম নিবন্ধনের তথ্য গুলো ব্যাবহার করে নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে হবে। নতুন এই জন্ম নিবন্ধন এর মধ্যে আপনার পুরনো জন্ম নিবন্ধন এর সকল তথ্য থাকবে।
অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার পরে আপনি আবেদন ফি সরাসরি আপনার ইউনিয়ন পরিষদ বা কাউন্সিলর অফিস গিয়ে জমা দিয়ে আসবেন। অবশ্যই আপনি যে ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করেছেন সেই ঠিকানায় জমা দেবেন। অন্য কোন ইউনিয়ন পরিষদ বা কাউন্সিলর অফিসে এই ফি জমা নেবে না।
অনলাইনের মাধ্যমে পুরনো জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার আবেদন করলে আপনার জন্ম নিবন্ধন পেতে একটু দেরি হতে পারে। এছাড়া আপনাকে ভেরিফাই করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ বা কাউন্সিলর অফিস থেকে আপনাকে ডাকানো হতে পারে। সেই সময় আপনার আবেদনের কপি এবং অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি আপনি যে ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন আবেদন করেছেন সেখানে চলে যাবেন। তারা আপনাকে ভেরিফাই করার পরে আপনার হাতে জন্ম নিবন্ধন এর বাংলা এবং ইংরেজি কপি দিয়ে দেবে।
আরো দেখে আসতে পারেনঃ
জন্ম নিবন্ধন যাচাই ও অনলাইন কঁপি ডাউনলোড
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন
পুরনো জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম
আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই দেশের যেকোনো স্থান থেকে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করে নিতে পারেন। তবে আপনি যে ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করবেন সেই ঠিকানা থেকে সংশোধিত জন্ম নিবন্ধনটি গ্রহণ করতে হবে। অন্য কোন ঠিকানা থেকে সেই জন্ম নিবন্ধনটি গ্রহণ করতে পারবেন না।
আপনি চাইলে আপনি যে ঠিকানায় আগে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করেছিলেন সেই ঠিকানা থেকেও জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করে নিতে পারবেন। এক জেলার জন্ম নিবন্ধন অন্য জেলায় সংশোধন করতে পারবেন না। তবে আপনি চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে বাংলাদেশের সকল জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে পারবেন।
পরিশেষে, যেহেতু বর্তমানে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ছাড়া কোন কাজ করা সম্ভব না তাই আপনার পুরনো জন্ম নিবন্ধন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অনলাইন করে নিন। তা না হলে ভবিষ্যতে আপনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হবেন। যারা জন্ম নিবন্ধন নিয়ে কাজ করে তারা যদি আপনার থেকে নির্দিষ্ট ফির বেশি টাকা চায় সেক্ষেত্রে আপনি আপনার নিকটস্থ থানায় অভিযোগ করুন। অভিযোগ করার আগে প্রমাণ রাখার চেষ্টা করবেন। এতে করে তাদের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠিন ব্যবস্থা নেবে।
আশা করি আজকের পোস্ট এর মাধ্যমে আপনারা কিছু শিখতে পেরেছেন। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আরো দেখে আসতে পারেনঃ