ট্রেজারি চালান কিভাবে পরিশোধ করবেন আমাদের অনেকেরই বিভিন্ন ধরনের ফি প্রদানের ক্ষেত্রে ট্রেজারি চালান এর প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে যারা সরকারি চাকরির আবেদন বা সরকারি কোনো ফি প্রদান করেন, তাদের এই সিস্টেম বেশি প্রয়োজন হয়। ট্রেজারি চালান ও ব্যাংক ড্রাফট এর মধ্যে অনেক কিছু মিল রয়েছে। তবে ব্যাংক ড্রাফট আপনি যেকোনো ব্যাংক থেকে করতে পারবেন, কিন্তু ট্রেজারি চালান শুধুমাত্র সরকারি ব্যাংকগুলোর থেকে করতে পারবেন।
ব্যাংক ড্রাফট কিভাবে করতে হয় | How to make a bank draft
ট্রেজারি চালান কি কি কাজে লাগে
১. সরকারি চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে
২. সরকারি বিভিন্ন ফি প্রদানের ক্ষেত্রে
ট্রেজারি চালান কি
সরকারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফি এবং সরকারি বিভিন্ন ফি পরিশোধের কাজে ট্রেজারি চালান ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ আপনি ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে সরকারি যেকোনো ধরনের ফি পরিশোধ করতে পারবেন।
ট্রেজারি চালান কিভাবে পরিশোধ করবেন
আপনি যদি ট্রেজারি চালান কিভাবে পরিশোধ করবেন এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য| পুরো পোস্টটি পড়ে খুব সহজেই জানতে পারবেন যে কিভাবে ট্রেজারি চালান কিভাবে পরিশোধ করবেন | ট্রেজারি চালান পরিশোধ করা একেবারেই সহজ পদ্ধতি| কেউ নিচে ট্রেজারি চালান এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক|
ট্রেজারি চালান কোথা থেকে করবেন
বাংলাদেশের ট্রেজারি চালান মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক দ্বারা করা হয়। সাধারণত সোনালী ব্যাংক দ্বারা সবচেয়ে বেশি ট্রেজারি চালান করা হয়। কারণ বাংলাদেশের প্রায় সকল জায়গায়তেই সোনালী ব্যাংকের শাখা আছে।
ট্রেজারী চালানের ফরম আপনি সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখা থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে এই ফরমটি এখন অনলাইনে ও পাওয়া যাচ্ছে। আপনি চাইলে অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে, সেটা সঠিকভাবে পূরণ করে ব্যাংকে গিয়ে টাকাসহ জমা দিয়ে আসতে পারবেন।
ট্রেজারি চালান এর ফরম পূরণের নিয়ম
ট্রেজারি চালান এর আবেদনের ক্ষেত্রে একসাথে তিন কপি লিখে জমা করতে হয়।
১. প্রথমে যে তারিখে আপনার ট্রেজারি চালান এর কপি ব্যাংকে জমা দেবেন, ওই তারিখটি দিন।
২. আপনার ব্যাংকটি কোন জেলার কোন শাখায় সেটা লিখে দিন (যেমন: ঢাকা মিরপুর শাখা)।
৩. আপনার বিজ্ঞপ্তির ফরমটিতে একটি কোড নম্বর থাকবে, সেটা ট্রেজারি চালান ফরমটি তে সঠিকভাবে লিখে দিন। লিখে আবার সেটা মিলিয়ে দেখুন, ভুল নম্বর দিলে কিন্তু আপনার টাকা জমা হবে না।
৪. ট্রেজারি চালান ফরম টি যে ব্যক্তি ব্যাংকে জমা করবে, তার নামটি দিন। যদি আপনি জমা করেন সেক্ষেত্রে আপনার নাম দিন।
৫. এখানে যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ট্রেজারি চালান এর আবেদন করছেন, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নাম ও ঠিকানা দিন। আর যদি পদবী থাকে তাহলে সেটা দিবেন।
৬. এই অংশে কিসের জন্য ফি জমা দিচ্ছেন সেটা লিখে দিন। আপনি যদি চাকরির পরীক্ষার জন্য ফি জমা দেন, সে ক্ষেত্রে চাকরির পরীক্ষা লিখে দেন।
৭. এই অংশে, আপনি যদি টাকা নগদ পরিশোধ করেন, সেক্ষেত্রে নগদ এর বক্সে টিক চিহ্ন দিন। আর যদি চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করেন, সেক্ষেত্রে আপনার চেক নম্বরটি দিন।
৮. আপনার বিজ্ঞপ্তিতে যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নামে ট্রেজারি চালান ঠিক করতে বলা হয়েছে, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা হুবহু লিখে দিন।
৯. নিচের অংশে, আপনার পরিশোধকৃত টাকার পরিমাণ অংকে এবং কথায় সঠিকভাবে লিখে, টাকাসহ তারপরে ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারে জমা দিন।
তারপরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেই আপনাকে ক্যাশ কাউন্টার থেকে একটি কপি দেওয়া হবে। সেটা আপনি পোস্ট অফিস কিংবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তির অফিসের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবেন (যদি পাঠাতে বলে)। কপিটি পাঠানোর আগে অবশ্যই একটি ফটোকপি করে নিবেন।
ট্রেজারী চালানের ক্ষেত্রে সাবধানতা
ট্রেজারি চালান কিভাবে পরিশোধ করবেন
মনে রাখবেন, বিজ্ঞপ্তিতে ট্রেজারি চালান নম্বর, তারিখ এবং ব্যাংকের নাম লিখতে হয়। সেটা অবশ্যই আপনার বিজ্ঞপ্তি ফরমে সঠিকভাবে লিখবেন। তা না হলে আপনার টাকা জমা হবে না, এতে আপনার আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।
অনেকেরই ফরম পূরণ করতে সমস্যা হয়, বিশেষ করে অনেকের হাত কাঁপে। তারা অবশ্যই নিজে ফরম পূরণ করতে যাবেন না। আপনার ফরমটি পূরণ করার জন্য আপনি কারো সাহায্য নিতে পারেন, এতে আপনার ফর্ম এর ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। বিজ্ঞপ্তির ফরম পূরণ এবং ট্রেজারি চালান এর ফরম পূরণের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ওভাররাইটিং না করাই উত্তম।
আজকের পোষ্ট নিয়ে আমাদের শেষ কথা
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক কাজে আসবে। আজকের পোস্টের মূল আলোচনা হল ট্রেজারি চালান কিভাবে পরিশোধ করবেন| আশা করি আজকের পোস্ট পড়ে আপনারা খুবই উপকৃত হবেন| উপরের পদ্ধতিগুলোর অনুসরন করে খুব সহজেই আমরা ট্রেজারি চালান পরিশোধ করতে পারি|
ধন্যবাদ সবাই |