Skip to content

ব্যাংক ড্রাফট কিভাবে করতে হয় | How to make a bank draft

ব্যাংক ড্রাফট কিভাবে করতে হয় ব্যাংক ড্রাফট এর সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। বিশেষ করে যারা চাকরি কিংবা সরকারি কোনো কাজের সাথে নিয়োজিত তারা এই শব্দটির সাথে অবশ্যই পরিচিত। কারণ বর্তমানে সরকারি প্রায় সকল ধরনের ফ্রি ব্যাংক ড্রাফট বা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে দিতে হয়।  ব্যাংক  ড্রাফট নিয়ে আজকের পোস্টে আমরা  বিস্তারিত জানব| ব্যাংক ড্রাফট কিভাবে করতে হয় চলুন  বিস্তারিত  জেনে নেয়া যাক | 

ব্যাংক ড্রাফট কিভাবে করতে হয়

কাদের ব্যাংক ড্রাফট প্রয়োজন হয়

  • সরকারি বা বেসরকারি চাকরির আবেদনের ফি প্রদানের ক্ষেত্রে
  • সরকারি বিভিন্ন ধরনের ফি প্রদানের ক্ষেত্রে

বিকাশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম 2022

ব্যাংক ড্রাফট কি?

কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোন নির্দিষ্ট ফি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রধানকে ব্যাংক ড্রাফট বলে।ব্যাংক ড্রাফট হচ্ছে, ব্যাংক কর্তৃক ইস্যু করা একটি বিশেষ ধরনের কাগজ যার মাধ্যমে, টাকা প্রদান করা হয়। এই টাকা প্রদান, সরকারী, বেসরকারী যেকোনো ক্ষেত্রেই গ্রহণযোগ্য।

ব্যাংকে, টাকা জমা দিয়েই, ব্যাক ড্রাফট কিনতে হয়।ব্যাংকের পরিভাষায়, ব্যাংক ড্রাফট কে “ডিমান্ড ড্রাফট” বলা হয়।

ব্যাংক ড্রাফট ফরম কোথায় পাওয়া যায়

ব্যাংক ড্রাফট ফরমটি এক পাতার হয় । এটি সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় পাওয়া যায়। অন্যান্য ব্যাংক বললে সে ব্যাংকেও পাওয়া যায়। এক কপি সঠিকভাবে পূরণ করে ক্যাশ কাউন্টারে জমা করতে হয়।

ব্যাংক ড্রাফট কিভাবে করতে হয় 

ব্যাংক ড্রাফট ও ট্রেজারি চালান এর মধ্যে পার্থক্য হলো ট্রেজারি চালান সরকারি কোড নম্বর ব্যবহার করে সরাসরি সরকারি কোষাগার অথবা সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখার মাধ্যমে প্রদান করা হয়।

ব্যাংক ড্রাফট মূলত সব ব্যাংকেই করা যায়। তবে যদি বিজ্ঞপ্তিতে আলাদা কোন ব্যাংকের নাম উল্লেখ থাকে, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ওই ব্যাংক দ্বারা ব্যাংক ড্রাফট করতে হবে।

বাংলাদেশে সাধারণত ব্যাংক ড্রাফট এবং ট্রেজারি চালান এর জন্য সবচেয়ে বেশি সোনালী ব্যাংক ব্যবহৃত হয়। আপনার বিজ্ঞপ্তিতে যদি কোন ব্যাংকের নাম উল্লেখ না থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি নিশ্চিন্তে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংক ড্রাফট অথবা ট্রেজারি চালান পরিশোধ করতে পারবেন।

ব্যাংক ড্রাফট কিভাবে করতে হয় |

 

ব্যাংক ড্রাফট এবং ট্রেজারি চালান ফরম

ব্যাংক ড্রাফট অথবা ট্রেজারি চালান এর ফরমটি মূলত এক পাতার হয়। এই ফরমটি আপনি সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখা থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনি যদি অন্য ব্যাংক থেকে ব্যাংক ড্রাফট করতে চান, তাহলে সেখানে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে ব্যাংক ড্রাফটের ফ্রম দিতে বললে তারা দিবে।

আপনাকে যে ফরমটি তারা বিদেশে ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করে আপনি ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারে নির্দিষ্ট টাকাসহ জমা দিবেন।

ব্যাংক ড্রাফট ফরম পূরণ করার নিয়ম

  1. প্রথমে টি টি বক্সে টিক চিহ্ন দিবেন।
  2. তারপরে, আপনি নগদে টাকা পরিশোধ করলে, নগদ এর বক্সে টিক চিহ্ন দিন। আর যদি চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করেন তাহলে চেকের বক্সে টিক চিহ্ন দিন।
  3. আপনি কত টাকা পরিশোধ করবেন সেটা অংকে এবং কোথায় লিখে দিন।
  4. তারপরে আপনার নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার লিখে দিন।
  5. যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে টাকা পাঠাবেন তার মোবাইল নাম্বার এবং ঠিকানা থাকলে সেটা লিখে দিন। সরকারি প্রতিষ্ঠান ক্ষেত্রে সাধারণত মোবাইল নাম্বার এবং ঠিকানা থাকে না, একটি কোড থাকবে সেটা দিয়ে দিতে পারেন।
  6. আপনার ব্যাংকটি কোন জেলার কোন শাখায় অবস্থিত সেটি লিখে দিন (যেমন: ঢাকা মিরপুর শাখা)। আপনার ব্যাংকের শাখার বিবরণ যদি আপনি না জানেন, সে ক্ষেত্রে টাকা জমা দেওয়ার সময় ব্যাংকের অফিসার কে জিজ্ঞেস করে নিবেন।
  7. এই অংশে আপনাকে টাকার বিবরণ লিখতে হবে। মনে রাখবেন ব্যাংক ড্রাফটের ক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যাংকের আলাদা চার্জ আছে, সেটা শতকরা হিসেবে নির্ধারিত হয়। সেটা না জানলে ব্যাংকের কাউকে জিজ্ঞেস করে সেটা সঠিকভাবে লিখে দিন।

ব্যাংক ড্রাফ  এর ক্ষেত্রে করণীয় বিষয় 

সবকিছু পূরণ করার পরে ফরমটি একবার চেক করে নিন। সবকিছু ঠিক থাকলে ফর্ম টি ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে টাকাসহ জমা দিন। তারপরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে সেই ব্যাংক থেকে আপনাকে ব্যাংক ড্রাফ্ট নামক চেকের মত একটি ফর্ম দেওয়া হবে। সেটা যত্ন করে রেখে দিন।

মনে রাখবেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ফর্মে আপনার ব্যাংক ড্রাফটের নাম্বার, তারিখ এবং শাখার নাম লিখতে হয়। সেটা লিখতে ভুল করবেন না। তাহলে কিন্তু আপনার ফরম পূরণ সাকসেসফুল হবে না।

ব্যাংক ড্রাফট করার পরে আপনাকে যে ফরমটি দিবে, সেটা যত্ন করে রেখে দিবেন। পারলে সেটার একটি ফটো কপি করে রাখুন।

ব্যাংক ড্রাফটের ফরমটি অবশ্য সঠিকভাবে পূরণ করবেন। আপনার ফ্রম যদি সঠিকভাবে পূরণ না করেন সেক্ষেত্রে আপনার ফী জমা হবে না। অনেকের ফরম পূরণ করতে সমস্যা হয়, তাই ফরম পূরণ করার সময় কারো সাহায্য নিতে পারেন। এতে করে ফরম্যাট ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

ব্যাংক  ড্রাফ  নিয়ে আমাদের শেষ কথা

ব্যাংক ড্রাফট কিভাবে করতে হয়

আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক কাজে আসবে। ব্যাংক ড্রাফট করার নিয়ম উপরে উল্লেখিত যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আপনি যদি ব্যাংক সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই তা পুরোপুরি পড়তে হবে| সম্পূর্ণ পড়লেই বুঝতে পারবেন যে ব্যাংক ড্রাফট কিভাবে করতে হয়| উপরে দেয়া সঠিক তথ্যের মাধ্যমে আমরা খুব সহজে  ব্যাংক ড্রাফ কাজ সম্পন্ন করতে  পারি|

ধন্যবাদ সবাইকে |

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *