Skip to content

ইউরোপের  যে দেশগুলোর ভিসা সহজে পাওয়া যায়

ইউরোপের  যে দেশগুলোর ভিসা সহজে পাওয়া যায় তা নিয়ে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছেপৃথিবীর সকল দেশের মানুষ ইউরোপে গিয়ে বসবাস করতে চায়। পুরো বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে ইউরোপের দেশগুলো। যার কারণে বিশ্বের প্রতিটা দেশের নাগরিকের স্বপ্ন থাকে ইউরোপে গিয়ে বসবাস করার।

এছাড়া ইউরোপে আপনি আপনার নিজের মেধাকে খুব সহজেই কাজে লাগাতে পারবেন। একজন মানুষের বা ইউরোপে নাগরিকদের মেধা বিকাশের জন্য সরকার অনেক বেশি সাহায্য করে। যেটা অন্য কোন দেশের সরকার তাদের নাগরিকদের খুব একটা করে না।

তবে সমস্যা হচ্ছে ইউরোপের ভিসা পাওয়া অত সহজ নয়। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন ভিসা পাওয়ার উপায় হলো ইউরোপের দেশগুলোর, ভিসা এগুলো সকল মানুষকে দেওয়া হয় না। তবে ইউরোপের কিছু দেশ রয়েছে যেগুলো ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় তাদের ভিসা প্রক্রিয়া অনেক সহজ করেছে। এছাড়া ইউরোপের অনেক দেশে আছে যেগুলোতে বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার জন্য খুব একটা ঝামেলা হয় না। আজকে সেই দেশগুলো সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব। তাহলে চলুন শুরু করি ইউরোপের  যে দেশগুলোর ভিসা সহজে পাওয়া যায় |

আরো দেখে আসতে পারেনঃ পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 

ইউরোপের যে দেশগুলোর ভিসা সহজে পাওয়া যায়

১. সুইজারল্যান্ড: সুইজারল্যান্ড হলো ইউরোপের একটি অন্যতম সুন্দর দেশ। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক সুইজারল্যান্ড এর সৌন্দর্য দেখতে যায়। সুইজারল্যান্ডের দক্ষিনে ইতালি, উত্তরে জার্মানি, পশ্চিমে ফ্রান্স এবং পূর্বে অস্ট্রেলিয়া দেশ আছে। বর্তমানে বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড এর ভিসার জন্য বেশি একটা কষ্ট করতে হয় না। আপনি চাইলে টুরিস্ট ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসায় খুব সহজেই সুইজারল্যান্ডের যেতে পারবেন। তবে সুইজারল্যান্ডে কাজের ভিসায় যেতে অনেক বেশী কষ্টকর।

২. ফ্রান্স: ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্স অন্যতম। এছাড়া ফ্রান্সে অনেক সুন্দর সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থাকায় প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক ফ্রান্সে ঘোরাফেরা করতে যায়। এছাড়া ফ্রান্সের রয়েছে একটি শক্তিশালী ফুটবল টিম। এছাড়া বিশ্বের অন্যতম সুন্দর আইফেল টাওয়ার ফ্রান্সের শহর প্যারিসে অবস্থিত। যারা ফ্রান্সে যায় তারা একবার হলেও আইফেল টাওয়ারের সাথে ছবি তুলে আসে। আপনি চাইলে বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসা কিংবা স্টুডেন্ট ভিসায় ফ্রান্সে যেতে পারবেন।

৩. লিস্টেনস্টাইন: ইউরোপের অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর দেশগুলোর মধ্যে একটি ছোট্ট দেশ হলো লিস্টেনস্টাইন। লিস্টেনস্টাইন দেশটি অস্ট্রেলিয়া এবং সুজারল্যান্ড এর। এই দেশটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। ছবির মতো সুন্দর এই দেশটিতে আপনি চাইলেই স্টুডেন্ট ভিসা বা টুরিস্ট ভিসায় খুব সহজেই যেতে পারবেন। এই দেশটি বাংলাদেশের একটি জেলা থেকেও ছোট। তাই টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে আপনি দেশটিতে খুব সহজেই ঘোরাফেরা করতে পারবেন।

৪. লিথুয়ানিয়া: ইউরোপের অন্যতম দেশ হল লিথুয়ানিয়া। সুইডেনের বিপরীত পাশে এই দেশটির শিক্ষার হার প্রায় ৯৯%। লিথুনিয়া দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি স্টুডেন্ট ভিসায় সুবিধা পাওয়া যায়। ইউরোপের অন্যান্য দেশের মত এই পৃথিবীর অনেক সুন্দর একটি দেশ। তাই প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এই দেশটিতে সৌন্দর্য উপভোগ করতে যায়। তবে কাজের ভিসার জন্য এই দেশটি আপনার জন্য না।

৫. পর্তুগাল: পর্তুগাল দেশটি ইউরোপের দক্ষিণে অবস্থিত। এই দেশটিকে সাগর কন্যা ও বলা হয়, কারণ এই দেশটি আটলান্টিক মহাসাগরের একেবারে পাশেই অবস্থিত। পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ ঝুলন্ত ব্রিজ এই পর্তুগালে অবস্থিত। পর্তুগালের আশেপাশে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় এই দেশটি সবুজে ঘেরা। সবুজ এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে পর্যটককে দেশটিতে যায়। আপনি চাইলেই বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট কিংবা স্টুডেন্ট ভিসায় পর্তুগালে যেতে পারবেন।

৬. মালটা: ভারতীয় এবং বাংলাদেশীদের অনেক বেশি কাজ করার সুযোগ রয়েছে এই দেশে। মালটা দেশটি বাংলাদেশ এবং ভারতীয়দের অনেক বেশি ভিসা দিয়ে থাকে। এছাড়া আপনি চাইলে টুরিস্ট ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসায় ও এ দেশটিতে যেতে পারবেন। মালটা দেশটি মূলত সাতটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি দেশ। আশেপাশে সাগর এবং নদী থাকায় এ দেশটির সৌন্দর্য অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এই দেশটিতে ঘুরতে যায়।

৭. লাটভিয়া: ইউরোপ মহাদেশের অন্যতম একটি দেশ হল লাটভিয়া। লাটভিয়া দেশটি বাল্টিক সাগর এর পূর্বদিকে অবস্থিত। আপনি খুব সহজেই স্টুডেন্ট ভিসায় বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। এছাড়া আপনি চাইলে কাজের ভিসায় ও এ দেশটিতে যেতে পারবেন এবং সেখানে থাকতে পারবেন। ইউরোপে যাওয়ার জন্য লাটভিয়া দেশটি একটি উপায় হতে পারে।

ইউরোপের ভিসা পাওয়ার উপায়

ইউরোপের ভিসা পাওয়া অনেক বেশি কষ্টকর। তবে আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপে গিয়ে সেখানে কাজ শুরু করেন এবং কোন কোম্পানিতে জব পান, তাহলে আপনি ইউরোপে খুব সহজেই বসবাস করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে চাইলে ইউরোপের যে দেশে যেতে চান ওই দেশের এম্বাসিতে যোগাযোগ করলে তাদের ভিসা সংক্রান্ত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।

অযথা বিভিন্ন ধরনের দালালের ফাঁদে পরে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতে যাবেন না। ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে কাজের জন্য ভিসা পাওয়া খুবই মুশকিল। তবে আপনি টুরিস্ট ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসায় সেখানে যেতে পারবেন।

আরো দেখে আসতে পারেনঃ  মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে 

ইউরোপে যেতে কত টাকা লাগে

ইউরোপে যেতে কত টাকা লাগবে সেটা নির্ভর করবে আপনি ইউরোপের কোন দেশে যেতে চান তার উপর। আপনি চাইলেই এই ওয়েবসাইট (https://www.vfsglobal.com/en/individuals/index.html) থেকে ইউরোপে যেতে কত টাকা লাগবে সেটা জানতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রথমে আপনি বাংলাদেশ সিলেক্ট করুন, তারপরে আপনি যেতে সে যেতে চান সেটি সিলেক্ট করলেই আপনার টাকার পরিমাণ দেখাবে। এছাড়া কোন দেশের ভিসা বর্তমানে বন্ধ আছে সেটিও এই ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন।

এছাড়া আপনি চাইলে আপনি কি দেশে যেতে চান সেই দেশের এম্বেসীতে বা কনস্যুলেট অফিসে গিয়ে সে দেশের ভিসা সম্পর্কিত সকল তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

ইউরোপের টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার উপায়

ইউরোপে খুব সহজে যেতে হলে টুরিস্ট ভিসায় যেতে পারবেন। আপনি ইউরোপের যেকোনো দেশে টুরিস্ট ভিসায় যেতে পারবেন। টুরিস্ট ভিসা পেতে হলে আপনি যে দেশে যেতে চান সে দেশে এম্বাসিতে যোগাযোগ করুন। এছাড়া আমাদের দেশে কিছু ভালো ভালো ট্রাভেল এজেন্স রয়েছে, যাদের সাথে যোগাযোগ করে কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই আপনি ইউরোপের টুরিস্ট ভিসা পেতে পারেন।

তবে আমাদের দেশে কিছু ফালতু ট্রাভেল এজেন্ট রয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ না করাই ভালো। এতে করে আপনার অযথা লক্ষ লক্ষ টাকা চলে যাবে, কিন্তু ভিসা পাবেন না।

ইউরোপের স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার উপায়

ইউরোপে টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার মত স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া অনেক সহজ। তবে ইউরোপে বেশিরভাগ দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে আইএলটিএস পরীক্ষা দিতে হয়। ভালো ইংরেজি না জানলে আপনি ইউরোপের স্টুডেন্ট ভিসা পাবেন না।

এছাড়া ইউরোপের বড় বড় দেশগুলোর স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়াটা একটু জটিল। তবে আপনি যদি মেধাবী হন এবং পড়াশোনা করার ইচ্ছা থাকে তাহলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপ এর মাধ্যমে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভিসা দেওয়া হয়। আপনি চাইলে সেসব স্কলার্শিপ গ্রহণ করতে পারেন। এতে করে আপনি কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই ইউরোপে পড়াশোনার জন্য যেতে পারবেন। স্টুডেন্ট ভিসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এই ভিসার মাধ্যমে আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি ইউরোপের বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন।

এছাড়া ইউরোপে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করতে করতে আপনি সেদেশে বাসিন্দা হয়ে যেতে পারবেন। আপনার যদি যথেষ্ট পরিমাণে সম্পত্তি, ব্যবসা বা টাকা থাকে তাহলে আপনি ইউরোপের গ্রীন কার্ড পেতে পারেন।

আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের অনেক কাজে আসবে। আজকে এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

আরো দেখে আসতে পারেনঃ  ভিসা আবেদন পত্র জমা দেয়ার পূর্ব শর্ত সমূহ 

2 thoughts on “ইউরোপের  যে দেশগুলোর ভিসা সহজে পাওয়া যায়”

  1. Pingback: রোমানিয়া ভিসা 2022 -

  2. Pingback: বেলারুশ কাজের ভিসা ২০২৩ - Trick Services

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *