Skip to content

অনলাইন ইনকাম কি? কিভাবে অনলাইন ইনকাম করা যায়

অনলাইন ইনকাম কি? কিভাবে অনলাইন ইনকাম করা যায় বর্তমানে যুব সমাজের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ চায় অনলাইনে ইনকাম করতে। অনলাইন ইনকামের জগতটা অনেকটাই ডার্ক ওয়েবের মত। এখানে আপনি সঠিক পথে চললে উন্নতি করতে পারবেন, আর উল্টো পথে চললে আপনি অনলাইনে কিছুই করতে পারবেনা।

অনলাইন ইনকাম কি?  কিভাবে অনলাইন ইনকাম করা যায়

অনলাইনে আপনি দুই ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। একটা হচ্ছে প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে, এবং আরেকটি হচ্ছে সাধারন অনলাইন ইনকাম করে। তাহলে চলুন জেনে আসি ফ্রিল্যান্সার এবং সাধারণ অনলাইন ইনকাম এর মধ্যে পার্থক্য কি|

অনলাইন ইনকাম কি?( What is online income)

ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে নিজের মেধা দিয়ে ইনাকাম করা কে অনলাইন ইনকাম বলে। সহজভাবে বলতে গেলে আপনার স্কিল অনলাইনে বিভিন্ন বায়ারের কাছে বিক্রি করে বা কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন। আমরা আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং  সম্পর্কে অনেক শুনেছি বা জেনেছি।অনলাইন ইমকাম নিয়ে অনেক অনেক মিথ প্রচলিত আছে। এদের মধ্যে বেশীরভাগ মিথ্যা বা বানোয়াট, কিছু স্বার্থবাদী মানুষ কখনোই চায় না অন্য কেউ সফল হোক। যাইহোক, অনলাইন ইনকাম যদিও সহজ কোন বিষয় না তবে ধৈর্য, মেধা, সময় এবং ইচ্ছা শক্তি থাকলে খুব সহজেই অনলাইন ইনকাম করা সম্ভব।

অনলাইন ইনকাম কি? কিভাবে অনলাইন ইনকাম করা যায়

আপনি যদি অনলাইন ইনকাম করতে চান তাহলে আজকের পোস্ট  আপনার জন্য ।অনলাইনে আপনি দুই ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। একটা হচ্ছে প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে, এবং আরেকটি হচ্ছে সাধারন অনলাইন ইনকাম করে। তাহলে চলুন জেনে আসি ফ্রিল্যান্সার এবং সাধারণ অনলাইন ইনকাম এর মধ্যে পার্থক্য কি|

ফ্রিল্যান্সার

ফ্রীলান্সিং হচ্ছে প্রফেশনাল অনলাইন ইনকামের একটি পদ্ধতি। মূলত ফ্রিল্যান্সিংকেই বলা হয় অনলাইন ইনকামের মূল সেক্টর। এখানে আপনি বিভিন্ন প্রফেশনাল কাজ করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।

কি কি কাজ করতে হয়

১. গ্রাফিক ডিজাইন

২. ওয়েব ডিজাইন

৩. লোগো ডিজাইন

৪. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

৫. অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

৬. কোডিং

৭. আর্টিকেল রাইটিং

৮. এসইও এক্সপার্ট

৯. ডিজিটাল মার্কেটিং

১০. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

১১. ইমেইল মার্কেটিং

১২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

১৩. সিপিএ মার্কেটিং (ইত্যাদি)

মূলত অনলাইনে যে কাজ করলে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন, সেই কাজকেই ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।

ফ্রিল্যান্সিং এর নীতিমালা

ফ্রীলান্সিং হচ্ছে মুক্ত পেশা। তবে আপনি ফ্রিলেন্সিংকে যতটা মুক্তপেশা মনে করছেন, ফ্রিল্যান্সিং কিন্তু ততটা মুক্ত পেশা নয়।

আপনি যেমন কোন কোম্পানিতে চাকরি করলে সেই কোম্পানির নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। ঠিক তেমনি আপনি কোন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট বা কোম্পানিতে কাজ করলে সেটার নিয়মকানুন অবশ্যই মানতে হবে। অনেক সময় তো এমন আজব আজব নিয়ম কানুন থাকে, যেগুলো মানতে না চাইলেও মানতে হবে।অনলাইন ইনকাম কি? অনলাইন ইনকাম কি আসলেই করা যায়

এছাড়া ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে বড় ভয় হলো, আপনার সামান্য কিছু ভুলের কারণে আপনার সারা জীবনের তৈরি করা একাউন্টটি যেকোন সময় ফ্রীলান্সিং কোম্পানিগুলো সাসপেন্ড করে দিতে পারবে।

সাধারণ অনলাইন ইনকাম

সাধারণ অনলাইন ইনকাম হচ্ছে কোন ওয়েবসাইট বা অ্যাপস এ কাজ করে সামান্য পরিমাণ কিছু ইনকাম করা। ধরুন কোনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপস তাদের এডভেটাইজ এ ক্লিক করার মাধ্যমে আপনাকে সামান্য কিছু ইনকাম দিবে।

এই ধরনের ওয়েবসাইট বা অ্যাপস গুলো সাধারণত গুগল এডসেন্সের সাহায্য নেয় অথবা অন্য কোন এডভেটাইজ কোম্পানি সাহায্য নেয়। যার ফলে ওই কোম্পানিগুলো একটি এডভেটাইজ ক্লিকের জন্য এডভেটাইজ কোম্পানির কাছ থেকে যদি ১০ টাকা পায়, তাহলে আপনাকে সেখান থেকে ৩ টাকা দিবে।

এই ধরনের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপসগুলো বেশিভাগ সময় মানুষকে ধোঁকা দেয় এবং অনেক সময় পেমেন্ট ও করে না। তাই এগুলো থেকে দূরে থাকাই উত্তম।

অনলাইন ইনকামের বাস্তবতা

অনলাইনে আসার আগে আপনাকে একজন প্রচুর উৎসাহ দিবে। কিন্তু আপনি যখন অনলাইন জগতে প্রবেশ করবেন, তখন বুঝবেন অনলাইন জগৎটা কিন্তু অনেকটাই কঠিন।

অনলাইন ইনকমে প্রথম অবস্থায় আপনি অনেক ধোঁকা খেতে পারেন। তবে সেই ধোঁকা খেয়ে সেখান থেকে শিক্ষা নেবে, সেখান থেকে চলে যাবেন না। এতে কিন্তু আপনারই লস হবে। আপনি যদি সেখান থেকে চলে যান সেক্ষেত্রে ওই কাজটা আপনি আর শিখতে পারবেন না।

অনলাইনে আপনাকে অনেকেই অনেক ধরনের লোক দেখাবে, এসব লোভে পড়তে যাবেন না। আপনি যদি এসব লোভে পড়েন, সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনার নিজের সময় নষ্ট হবে। কোন ধরনের লাভ হবে না।

সঠিক অনলাইন ইনকাম

আপনি যদি সঠিকভাবে অনলাইনে ইনকাম করতে চান, সে ক্ষেত্রে আমি বলব আপনি অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং শিখুন। অবশ্যই প্রফেশনাল কাজ (যেমন: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, কোডিং, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি) শেখার মাধ্যমে অনলাইন জগতে প্রবেশ করবেন।

অনলাইন জগতে প্রবেশ করার আগে অবশ্যই আপনি যে ওয়েবসাইট থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান, ওই ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেবেন। সেই ওয়েবসাইটে নীতিমালা এবং পেমেন্ট সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানবেন। তা নাহলে পরে বিপদে পড়বেন।

এছাড়া আপনি যখন ফ্রীলান্সিং জগতে প্রবেশ করবেন প্রথমে দুই বছর পর্যন্ত আপনি হয়তো কোনো কাজ নাও পেতে পারেন। সেখানে নিরাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। আপনি সেই সময়ে আপনার সেই দক্ষতা টা অন্য কোন সেক্টরে কাজে লাগান। এতে করে আপনার সময় নষ্ট হবে না, বরং আপনার ওই কাজের প্রতি আরো বেশি দক্ষতা বাড়বে।

নীতিমালা

অনলাইনে কাজ করার আগে আপনি যেই প্লাটফর্মে কাজ করবেন, সেই প্ল্যাটফর্মের নীতিমালা সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করুন। আপনি যেই প্লাটফর্মে কাজ করতে চান, সেই প্ল্যাটফর্মের নীতিমালাগুলো আপনি গুগল অথবা ইউটুবে সার্চ করে ও পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের ভাষায়।

নীতিমালা না জেনে কোন প্লাটফর্মে আগে ঢুকতে যাবেন না। এতে করে আপনি যদি সেই কোম্পানি বা ওয়েবসাইটের নীতি ভঙ্গ করেন, সেক্ষেত্রে তারা আপনার একাউন্ট সাথে সাথে ডিজেবল করে দেবে। যার ফলে আপনার এতদিনের কষ্টকর আপ একাউন্ট টা একটা সামান্য ভুলের কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

পেমেন্ট সিস্টেম

অনলাইন জগতে পেমেন্ট সিস্টেম টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনার কষ্টের টাকা যদি আপনি না পান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই অনেক কষ্ট লাগবে। তাই অবশ্যই আপনি কোন কোম্পানিতে বা ওয়েবসাইটে কাজ করার আগে, সেই কোম্পানি বা ওয়েবসাইটের পেমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কে আগে জেনে নেবেন।

পৃথিবীতে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা বাংলাদেশের কোন পেমেন্ট সাপোর্ট করেনা। সেসব ওয়েবসাইটের টাকা হয়তো থার্ড-পার্টি কোন পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনতে হয়।

ফ্রীলান্সিং জগতে ফাইবার খুবই পরিচিত একটি নাম। ফাইবারের টাকাও কিন্তু আমরা সরাসরি আমাদের দেশের একাউন্টে আনতে পারি না। হায়দারের টাকা আনতে আমরা পেওনিয়ার পেমেন্ট সিস্টেম এর সাহায্য নেই।

প্রথমে আমরা ফাইবার থেকে পেওনিয়ারে টাকা উইথড্র দেই, তারপরে সেই পেওনিয়ার থেকে আমরা বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংকে টাকা আনতে পারি। এছাড়া বর্তমানে আমরা মাত্র ১০০০ টাকা হলেই বিকাশেও পেওনার থেকে টাকা আনতে পারি।

হয়তো ভবিষ্যতে আমাদের দেশে পেপাল সহ অন্যান্য ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম গুলো চালু হবে। যেগুলো থেকে আমরা সহজেই টাকা লেনদেন করতে পারব।

সাবধানতা

অনলাইন ইনকাম কি? কিভাবে অনলাইন ইনকাম করা যায়

অনলাইন জগতে ধোকা খাওয়ার শেষ নেই। আপনি যখন প্রথম অনলাইন সেক্টরে ঢুকবেন তখন হয়তো আপনি বিভিন্ন ধরনের ধোঁকা খেতে পারেন।

অনলাইন জগতে যেমন ধোকা আছে ঠিক তেমনি কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা খুবই জরুরী। সেগুলো হলো…

১. জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য না দেওয়া

২. ব্যাংকিং তথ্য না দেওয়া

৩. মোবাইলের তথ্য না দেওয়া

৪. আঙ্গুলের ছাপের তথ্য না দেওয়া

৫. শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য না দেওয়া

৬. হ্যাকিং টুলস ব্যবহার না করা

৭. উল্টাপাল্টা কোন লিংকে ক্লিক না করা

৮. অজানা কোন অ্যাপস ডাউনলোড না করা

৯. অজানা কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ না করা

১০. আপনার অনলাইন তথ্য কোন ওয়েবসাইট বা অ্যাপস কে না দেওয়া (ইত্যাদি)

যে বিষয়গুলু আপনি কখনও করবেন না

কিছু কিছু অ্যাপস বা ওয়েবসাইট আছে, যারা আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন চাইবে সেগুলো কখনোই দিবেন না। তবে যদি কোন কোম্পানি বিশ্বস্ত হয় সে ক্ষেত্রে দিতে পারেন (যেমন: গুগল, ফেসবুক, ফাইবার, টুইটার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার, সরকারি প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি)

অযথা আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে কোন ধরনের অ্যাপস ডাউনলোড করতে যাবেন না।অনলাইন ইনকাম কি? কিভাবে অনলাইন ইনকাম করা যায় এতে যেমনি আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার হ্যাং করবে, ঠিক তেমনি আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন চুরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ও থাকবে।

আপনার যদি প্রফেশনাল কাজগুলো করার সুযোগ না থাকে বা কম্পিউটার না থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে কনটেন্ট রাইটিং বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। এই কাজটি আপনি আপনার নিজের মোবাইল দিয়েও করতে পারবেন। তবে সঠিক ধারণা থাকতে হবে।

আপনি চাইলেই এই কাজগুলো শিখতে ইউটিউব এর সাহায্য নিতে পারেন। বর্তমানে ইউটিউবে সার্চ করে সকল ধরনের সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। অযথা ট্রেনিং সেন্টারে টাকা খরচ করে কোন লাভ নেই। যদি আপনার জানাশোনা কোনো ভালো ট্রেনিং সেন্টার থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি সেখান থেকে কিছু এডভান্স লেভেলের কাজ শিখতে পারেন।

তবে অযথা সময় নষ্ট করবেন না। যে ব্যক্তি থেকে কাজ শিখবেন আগের সেই ব্যক্তির ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিবেন। সে কি আসলেই কোন কাজে (যে কাজ শিখতে চান) দক্ষ কিনা।

আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে।

ধন্নবাদ সবাইকে

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *